বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলায় চাঁদার টাকা না পেয়ে মহিউল ইসলাম (৩২) নামের এক ডিগ্রি কলেজ শিক্ষক ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার রাজৈর এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহতদের শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মহিউল ইসলাম শরণখোলা ডিগ্রি কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক। এঘটনায় পাঁচ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার পর শরণখোলা ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষকরা সমাবেশ করে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে। অন্যথায় কলেজে পাঠদান বন্ধসহ আন্দোলনের নামবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন শিক্ষকরা।

আহত শিক্ষক মহিউল ইসলাম জানান, এক বছর আগে রাজৈর গ্রামের নূরুল হক ফরাজী বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন তিনি। পরবর্তীতে ওই বাড়ি ছেড়ে কলেজ সংলগ্ন নূরুজ্জামান গাজীর বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। তিনি বাসা ছেড়ে দেয়ার পর থেকে কোনো ভাড়াটিয়া না পেয়ে নূরুল হক ফরাজী ক্ষীপ্ত হয়। এরপর তার ছেলেদের পাঠিয়ে তার কাছে ক্ষতিপুরণ হিসেবে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নূরুল হক ফরাজী তার দুই ছেলে খায়রুল ইসলাম সোহেল ও কামরুল ইসলাম রাসেলসহ চারজন তার বাসায় গিয়ে চাঁদার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা লাঠিসোটা দিয়ে শিক্ষক ও তার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করেন।

শরণখোলায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল জানান, শিক্ষক দম্পতির ওপর হামলার ঘটনা মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(একে/এএস/জুলাই ২০, ২০১৬)