বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে ৭ বছরে চার উপজেলার ১ হাজার ১২৫ জন নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এর সহযোগিতায় বাগেরহাটের মংলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল ও চিতলমারী উপজেলা “অতিদরিদ্র পরিবারের অর্থনৈতিক ও খাদ্য নিরাপত্তা” কর্মসুচীর আওতায় ২২ হাজার’৫শ পরিবারে সচ্ছলতা আসছে।

এর মধ্যে ১ হাজার ১২৫ জন নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টি হয়েছে। এসব নারী উদ্যোক্তারা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে অর্থনৈতিক ভাবে আরো সাবলম্বী হতে পারে।

বৃহস্পতিবার সিড়ি প্রকল্পের অভিজ্ঞা ও উন্নয়ন স্থায়ীকরণ কর্মশালায় সেভ দ্য চিলড্রেন ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম সরকার একথা জানান।

তিনি বলেন, ২২ হাজার ৫শ পরিবারকে মৎস্যচাষ, পশু পালন, সবজি চাষ, মোবাইল বিউটি পার্লার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ ৩৯ ধরণের পেশায় আগ্রহী করে তুলেছেন। অনেক পরিবারের একাধিক ব্যাক্তি সাবলম্ভী হয়েছেন। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সালের জুলাই পর্যন্ত ৭ বছর ধরে এই প্রল্পের কাজ চলছে।

বাগেরহাটের রামপালের নারী উদ্যোক্তা পারুল বলেন, দুই সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে ছিলাম। এরা আমাকে আট হাজার টাকা দেয়। সেই টাকা দিয়ে প্রথমে শাড়ির ব্যবসা করি। এখন মাছ চাষ করেছি। সংসার ভাল ভাবে চলছে। সন্তানদের নিয়ে অনেক ভাল আছি’। একই এলাকার জেলে নজরুল খান বলেন, ৭ হাজার টাকা অনুদান পেয়ে নৌকা ও জাল কিনে মাছ ধরে সংসার চালাই। বর্তমানে আমি সাবলম্বী। আমার অনেক পুজিঁ আছে। আমার মত অনেক গরীব মানুষ স্চ্ছল হয়েছে’।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম। এছাড়া অন্যানের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবতাফ উদ্দিন, জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা সুখেন্দু শেখর গায়েন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র মন্ডল, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হৃষিকেশ দাস, সমবায় কর্মকর্তা ফজলুল করিম প্রমুখ।

(এসএকে/এস/জুলাই ২২,২০১৬)