নিউজ ডেস্ক : চাকরি শুধু পেলেই হয় না! চাকরি করাটা রীতিমতো শিখতে হয়। এখানে কিন্তু কাজ শেখার কথা বলা হচ্ছে না। কাজটা জানেন বলেই তো আপনি চাকরিটা পেয়েছেন।

শেখার বিষয় হচ্ছে, অফিসিয়াল ম্যানার। যেখানে আমরা অনেকেই আমরা ভুল করে ফেলি। সুতরাং জেনে নিন, অফিসে কোন কাজগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

মুষড়ে পড়া: কাজের চাপ থাকতেই পারে। তাই বলে, মুখ ভার করে ঘুরে বেড়াবেন না। বা, বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছে বলে বিরক্তি প্রকাশ করবেন না। এতে একটা নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয় কর্তৃপক্ষের আপনাকে নিয়ে। তারা ভাবেন, আপনি যোগ্য কর্মচারী নন।

অন্যের সমালোচনা: অফিসে অন্যদের নিয়ে সমালোচনা না করাই ভালো। কেননা আপনি হয়তো কারো সম্পর্কে কোনো নেগেটিভ কথা বিশ্বাস করে বললেন কাউকে। কিন্তু যাকে বললেন সে যে সেটা গিয়ে ওই ব্যক্তির কানে তুলবেন না এবং তার থেকে ঝামেলা হবে না- কে বলতে পারে। অতএব, গল্প করুন, কিন্তু অন্যের সমালোচনা নয়।

নালিশ করা: কোনো প্রতিষ্ঠানই এমন কর্মচারী পছন্দ করেন না যিনি কথায় কথায় সব দোষ অন্যদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেন এবং তাদের বিরুদ্ধে নালিশ করেন। এরকম ক্ষেত্রে একটা সময়ের পর কিন্তু যিনি নালিশ করেন, তাকেই বরখাস্ত করা হয়।

ঘুমিয়ে পড়া: কর্মক্ষেত্রে ঘুমিয়ে পড়লে কিন্তু ফাঁকিবাজ তকমা জুড়ে যাবে।

বসকে নিয়ে সমালোচনা: পরনিন্দা-পরচর্চার ক্ষেত্রে যে ঝুঁকিটা থাকে, তা এক্ষেত্রে অনেক বেশি। সহকর্মীকে নিয়ে সমালোচনা করলে আপনার চাকরি নাও যেতে পারে। কিন্তু, বসের ক্ষেত্রে কোনো গ্যারান্টি দেওয়া যায় না।

গালাগালি দেওয়া: গালাগালি দিয়ে কথা বলাটা কিন্তু একদমই কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে যায় না। তাই, সাবধান থাকুন। কখন কোনটা কার গায়ে লাগবে এবং এর দরুন টানাপোড়েন শুরু হবে চাকরি নিয়ে- কে বলতে পারে!

চুরি করা: অফিসের কলম, বইখাতা এসব জিনিস খুব ছোটখাটো হলেও বাড়িতে নিয়ে আসবেন না। একবার চোর বদনাম লেগে গেলে সহজে মুছবে না।

অফিসে বাড়ির কাজ: নিতান্ত বাধ্য না হলে বাড়ির কাজ অফিসে নিয়ে না আসাই ভালো। কেননা এর ফলে আপনার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এই অভিযোগও উঠবে, আপনি অফিসকে সময় এবং গুরুত্ব- কোনোটাই দিচ্ছেন না।

এছাড়াও অফিসে জোরে হাসা, খসখস শব্দ করে হাঁটা, ধূমপান করা, হাঁচি তোলা, থুথু ফেলা ঠিক না

(ওএস/এএস/জুলাই ২২, ২০১৬)