নওগাঁ প্রতিনিধি :নওগাঁর রানীনগর উপজেলার কাচারী বেলঘড়িয়া গ্রামের নির্যাতিত যুবক দেবাশীষ সরকার সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবীতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। জীবনের ভয়ে সে মামলা করতে পারছেনা। থানায় মামলা করতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে থানার গেট থেকে তুলে এনে জোর করে ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। এমন ঘটনায় সে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

দেবাশীষ সরকার জানান, প্রায় চার মাস আগে এলাকার সাবেক মেম্বার সুবাস সরকার বাবলুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাকে বেদম মারপিট করে ১লাখ ৯২হাজার টাকা কেড়ে নেয়। এব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেলে তার সহকর্মীরা থানার গেট থেকে তাকে মীমাংসার কথা বলে তুলে এনে বেশক’টি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ছিনিয়ে নেয়া টাকা ও ষ্ট্যাম্পগুলো ফিরিয়ে দিতে চেয়েও দীর্ঘদিনেও তা দিচ্ছেনা।

দেবাশীষসহ নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি প্রতিবেদককে জানান, উক্ত বাবলু মেম্বার তার কৃতকর্মের কারনে এবারের ভোটে জয়লাভ করতে পারেনি। আর ভোটে হেরে গিয়ে তিনি মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে বেলঘড়িয়া বাজারে গ্রামবাসীর সহযোগীতায় নির্মিত আওয়ামীলীগ অফিস তৈরীর পর সেই অফিস ঘরটি ৭০ হাজার টাকায় এক চা দোকানীর কাছে বিক্রির ঘটনায় ওই মেম্বারের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন তারা।
মেম্বার নেপথ্যে থেকে তার সহকর্মী শরিফুলকে বিক্রেতা সাজানো হয়েছে বলে লোকজন জানায়। আর একারনেই তিনি নির্বাচনে হেরে যান।

তবে ওই চা দোকানের মালিক সাধন চন্দ্র জানান, গ্রামের জামাই শরিফুল ইসলাম গত ১৭-০৪-১৫ তারিখে ৭০ হাজার টাকায় আমার কাছে পজিশন বিক্রি করেছে। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় অফিস ঘর তৈরীর পর কিভাবে চা দোকানে পরিণত হলো, এর সদুত্তোর তিনি দিতে পারেননি।

এব্যাপারে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য সুবাস সরকার বাবলু নিজেকে নির্দোষ দাবী করে জানান, দলীয় কার্যালয় কখনো বিক্রি হয়না। আর চার মাস আগে দেবাশীষের টাকা কেড়ে নেয়ার ব্যাপারে সে আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি কেন? এসব ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। নির্বাচনী প্রতিপক্ষরা আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ উত্থাপন করছে।


(বিএম/এস/জুলাই ২২,২০১৬)