নওগাঁ প্রতিনিধি :নওগাঁর রাণীনগর উপজেলা ভূমি অফিসের ভবন দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় লাগাতার বৃষ্টিপাতের ফলে পানি জমে ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ছে। এতে বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরার কারণে ভবনের ছাদ যে কোন মূহুর্তে ধ্বসে পড়ে প্রাণহানীর মতো ভয়াবহ দূর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। দপ্তরের ভিতরে পানি পড়ার কারণে ভূমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ইতোমধ্যেই নষ্ট হতে শুরু করেছে।

জানা গেছে, আশির দশকে এরশাদ সরকারের আমলে উপজেলা পরিষদ স্থাপিত হওয়ার সময় প্রশাসনিক কর্মকান্ড চালানোর জন্য বেশ কিছু ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমান ভূমি অফিসটি তৎকালীন সময়ে তৈরি এবং এটি আদালতের ভবন হিসেবে ব্যবহার হতো। উপজেলা পরিষদ বিলুপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভবনটিও পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। ১৯৯৫ সালের শেষ দিকে উপজেলা ভূমি অফিস হিসেবে পুনরায় কাজ শুরু করলে প্রায় ২০ বছর ধরে এই ভবনেই চলছে ভূমি সংক্রান্ত কার্যক্রম। প্রতিদিন প্রায় শতাধিক লোকজন এই অফিসে জমি সংক্রান্ত কাজ নিয়ে আসে। এই কাজগুলো যথারীতি সম্পূর্ণ করার জন্য অফিসে কর্মরত প্রায় ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

কিন্তু ভূমি অফিসের ভবন দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ছে। এতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। উপজেলা পরিষদের অতি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ এই দপ্তর। এই দপ্তর থেকে সরকার প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করলেও এই জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন তৈরি কিংবা সংস্কার করার কোন পদক্ষেপ আজ পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি। এ যেন এক অভিভাবকহীন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সুনীল চন্দ্র সরকার জানান, আমি প্রায় ৫ বছর যাবত এই অফিসে কর্মরত আছি। এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই আজ অবধি প্রাণের মায়া ত্যাগ করে জনগণের সেবা করে যাচ্ছি। আমরা উপর মহলে অনেকবার লিখিত আবেদন করেও কোন সাড়া মেলেনি।

(বিএম/এস/জুলাই ২৩,২০১৬)