সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় সহিংসতা মামলার আসামীদের নিয়ে মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়েছে। সোমবার সারা দেশের ন্যায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে সাতক্ষীরাতেও পালন করা হয় এ কর্মসূচী। সকাল ১১ টায় সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যশোর সাতক্ষীরা সড়কের উপর জঙ্গি বিরোধী কর্মসূচী পালন করে।

এতে উপস্থিত ছিলেন, ২০১৩ সালের সহিংসতা মামলার আসামী সাতক্ষীরা জেলা জমায়াতের রোকন মাওলানা ইকবাল হোসেন, দুটি নাশকতা মামলার চার্জসীট ভূক্ত আসামী মাওলানা আব্দুল মুজিদ, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের প্রভাষক ছাত্রলীগ নেতা মামুন হত্যা মামলার আসামী মাওলানা মহিদুল ইসলাম, একটি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার আসামী মাওলানা আব্দুল ওহাব, তিনটি নাশকাতা মামলার আসামী মাওলানা মনিরুজ্জামান।

এবিষয়ে ঝাউডাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: তোফায়েল আহম্মেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তিনি মানববন্ধন কর্মসূচী সফল করতে ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকার সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষ নিয়ে জঙ্গী ও সন্ত্রাস বিরোধী কর্মসূচী পালন করেছেন। কারা এতে অংশ নিতে পারবে আর কারা পারবেনা এবিষয়ে তার জানা ছিলো না।

একইভাবে সোমবার সকাল ১১টায় সাত্ক্ষীরা সিটি কলেজের সামনে যশোর - সাতক্ষীরা সড়কে ছাত্র শিক্ষক ও কর্মচারিরা জঙ্গী ও সন্ত্রাস বিরোধী মানববন্ধন করেন। এতে অংশ নেন সহিংসতা মামলায় জেল হাজতে থাকা শিক্ষক ইউনুস আলী,ফজলুল হক, অধ্যক্ষ আবু সাঈদের বেহাই শিক্ষকের স্কেলে বেতনভোগী গ্রন্থাগারিক কামরুল হোসেন। এ ছাড়া যার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে জামায়াতের সেই শিক্ষক আজিবর রহমান. জাহাঙ্গীর আলম, ড. মিজানুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ, শফিউল আলম অংশ নেন।

যদিও এ নিয়ে কথা বলতে চাইলে অধ্যক্ষ আবু সাঈদের সঙ্গে যোগাযোগ করা স্ম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে সাতক্ষীরায় সন্ত্রাস নয়, শান্তি চাই, শঙ্কামুক্ত জীবন চাই এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় জঙ্গী ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে জনগণের ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ মানাববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে। সোমবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।

সাতক্ষীরার সকল গুরুত্বপূর্ণ সড়কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শেণি-পেশার মানুষ এ মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।

সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার বলেন, পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথমে মৌলবাদী জঙ্গিবাদী চিন্তা পরিহার করাতে হবে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে শিশুদের। এছাড়া শহরে টাউন গার্লস হাইস্কুল, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পলাশপোল হাইস্কুল, আব্দুল করিম বালিকা বিদ্যালয়, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোামা ইঞ্জনিয়ার্স এ্যাসোসিয়েশনসহ জেলার কয়েক শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন স্থানে জঙ্গী ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।

বক্তরা এ সময় সকলকে জঙ্গী ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে সকলকে ঐক্য বদ্ধ থাকার আহবান জানান।
(আরএনকে/এস/আগস্ট ০১,২০১৬)