সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সাতক্ষীরার সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলসের শ্রমিকরা অবস্থান ধর্মঘট  করেছেন।  সোমবার ভোর ৬ টার শিফটে যোগ না দিয়ে ৩৫০ জন  শ্রমিক  মিলের মেইন গেইটের  সামনে অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেন। তারা এ সময় মিছিলও করেন। তারা তাদের দাবির স্বপক্ষে নানা ধরনের স্লোগান দেন ।

মিল শ্রমিকরা জানান. তাদের দৈনিক মজুরি মাত্র ১২০ টাকা। তাদের দাবি কমপক্ষে ৩০০ টাকা দৈনিক মজুরি নির্ধারণ করতে হবে ।

মিল শ্রমিক নেতা পবিত্র মোহন মন্ডল , জাকির হোসেন , হোসনে আরা খাতুন, রেকসোনা বেগম , আব্দুল আজিজ ও মতিয়ার রহমান জানান, সাবেক বস্ত্রমন্ত্রী মুনসুর আলীর অক্লান্ত চেষ্টায় ১৯৮৩ সাল থেকে শহরতলীর লাবসায় সুন্দরবন টেক্সটাইলস মিলস এর যাত্রা শুরু হয়। ২০০৬ সালে লোকসান পোহাতে না পেরে কতৃপক্ষ মিলটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। একপর্যায়ে ২০১০ সাল থেকে সার্ভিস চার্জের ভিত্তিতে চুক্তি করে বেসরকারিভাবে উৎপাদন শুরু হয়।

তারা এক শিফটে কাজ করে মাত্র ১২০ টাকা পান। তাও নিয়মিত নয়। বর্তমান সময়ে এই মজুরি খুবই নগন্য উল্লেখ করে তারা বলেন, তাদের দাবির কথা বারবারই মিল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা তাদের আবেদনপত্র পেয়েও কোনো গুরুত্ব দেন না। ফলে কোনো কাজও হয়নি। আজ ধর্মঘটের পর তারা তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন । এই সময়ের মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস অচল করে দেওয়া হবে’।

শ্রমিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ‘ধর্মঘট চলাকালে পুলিশ তাদের হুমকি দিয়ে গেছে। কাজে যোগ না দিলে তাদের চাকুরিচ্যুত করা হবে। প্রয়োজনে লাঠিপেটা করা হবে।

সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ( ডিজিএম ) আবু হানিফ জানান ‘মিলটি চলছে সার্ভিস চার্জের ভিত্তিতে। নো ওয়ার্ক নো পে ভিত্তিতে নারায়নগঞ্জের সুমন ট্রেডার্স দুই বছরের চুক্তিতে মিলটি সচল রেখেছে। মিল কর্তৃপক্ষ এখনও তার কাছে ২০ লাখ টাকা দেনা রয়েছে। মিলটি এখন লোকসান টানছে’।

শ্রমিকদের মজুরি খুবই নগণ্য স্বীকার করে ডিজিএম বলেন তাদের দাবির বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে সমাধান হতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। বিষয়টি নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, শ্রমিকরা ধর্মঘট করে কাজে যোগ না দিলে মিলটি অচল হয়ে পড়বে। তাতে জটিলতা আরও বাড়বে উল্লেখ করে তিনি তাদেরকে কাজে যোগ দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।


(আরএনকে/এস/আগস্ট ০১,২০১৬)