ফরিদুল ইসলাম (রঞ্জু),ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুকুরী ইউনিয়নে সাত জন পুরুষের নামে নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শুখানপুকুরী ইউনিয়নের জাঠিভাঙ্গা এলাকার রমেশ চন্দ্র বর্মন এর নামে একই এলাকার আনোয়ারা খাতুন (খুকি) হঠাৎ করে এলাকার মধ্যে গুজব ছড়িয়ে বলে রমেশ গত ১০ জুলাই রাত আনুমানিক ১১টার দিকে তার ঘরে প্রবেশের চেষ্টা করে।এ সময় নিজের সম্মান বাঁচাতে খুকি তাকে দা দিয়ে কোপ মারে। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে খুকিকে ডেকে স্থানীয় বাজারে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বিচার-সালিস বসে। সেখানে খুকির কথা মিথ্যা প্রমাণিত হয় এবং রমেশের শরীরে কথিত দায়ের কোপের কোন চিহ্ন ছিলনা। সে সময় উপস্থিত ইউপি সদস্যা রিনাসহ উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মিথ্যা অপবাদ দেওয়ার কারণে তাকে প্রহার করে এবং তার কাছে লিখিত নেওয়া হয় সে এরূপ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কাউকে হয়রানি করবে না। কিন্তু কিছুদিন পরে স্থানীয় লোক জানতে পারে খুকি রমেশকে ১নং আসামী করে সাত জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মিথ্যা মামলা করেছে।যার নারী ও শিশু মামলা নং-২৯৫/২০১৬।

সরেজমিনে ঐ এলাকায় গিয়ে অভিযোগকারী নারী আনোয়ারা খাতুন খুকির সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি জানান, আমি বয়স্ক মানুষ,স্বামী হারা ও দুই সন্তান হারা মা।দুই সন্তান থাকে ঢাকায়।আপনারাই বিচার করেন আমাকে কে খেতে দেবে। আমি স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে অনেক ধর্ণা দিয়েও কোন সহযোগিতা পাইনি।

নারী নির্যাতন মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা।বিচারের কথা বলে আমাকে চৌকিদার ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করে সেটার জন্য আমি মামলা করতে গিয়েছিলাম।কিন্তু ইউপি সদস্যা রিনার দেবর আজাদ মুহুরী আমাকে কোর্টে নিয়ে কি মামলা করেছে এবং জজের সামনে কি বলিয়েছে তা আমার নিজেরও মনে নেই।পরে আজাদকে বলি মেম্বারনির নাম কেন মামলায় নাই, ও তো আমাকে বেশি মারধর করেছে।কিন্তু আজাদ আমাকে জানায় মেম্বারনি আমার ভাবি হয় এজন্য তার নাম মামলায় দেয়া হয়নি। ”স্যার আপনাদের কাছে বিচার দিচ্ছি আমাকে যেন আর ঠাকুরগাঁওয়ে যেতে না হয় সে ব্যবস্থা করে দেন”।

এ সময় উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তির সামনে কথা দেয়-যখনই এ বিষয়ে বিবাদীর সাথে বসা হবে তখনই মামলা তুলে নেবে। কিন্তু গণমাধ্যম কর্মীরা সেখান থেকে ফিরে আসার পর জানা গেছে খুকিকে সেই মামলাবাজ মুহুরী অন্যত্র সরিয়ে রেখেছে। আরো জানা যায় মামলার সময় সে বিভিন্ন জনকে মামলা থেকে নাম কেটে দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ভুক্তভোগী মানুষেরা তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।








(এফআইআর/এস/আগস্ট ০৩,২০১৬)