বান্দরবান প্রতিনিধি :বান্দরবনের লাকড়ি ব্যবসায়ী মোঃ রফিক সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

শহরের সুলতানপুর এলাকার সালা উদ্দিন ও মিজান লাকড়ি বিক্রির কথা বলে মোঃ রফিককে সুলায়ক ইউনিয়নের নির্জনে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে মারধর করে আটকিয়ে রেখে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। ২৮ জুলাই রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আটকিয়ে তার কাছ থেকে নগদ ৬ হাজার ৮শত এবং অপহৃতার বোনের কাছ থেকে মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ বিষয়ে মোঃ রফিক বাদী হয়ে গত ১ আগষ্ট বান্দরবান সদর থানায় সালা উদ্দিন ও মিজানসহ আরো ৩ জনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করে। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করেনি।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, অভিযুক্তরা মোঃ রফিককে দীর্ঘ দিন ধরে সুয়ালক ইউনিয়নের আমতলী এলাকায় তাদের লাকড়ির ষ্টক আছে বলে জানায়। তাদের কথামতো গত ২৮ জুলাই বিকেলে লাকড়ি দেখানোর জন্য সালা উদ্দিন ও মিজান দুজনেই মোঃ রফিককে আমতলী এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর অজ্ঞাত পরিচয়ের আরো ৩জন তাদের সাথে যোগ দেয়। ৫ জন মিলে রফিককে একটি নির্জন এলাকায় সেগুন গাছের সাথে বেঁধে রেখে রফিককে বেদম মারধর করে এবং তার কাছে থাকা নগদ ৬ হাজার ৮শত টাকা এবং আড়াই হাজার টাকা মুল্যের একটি মোবাইল সেট ছিনিয়ে নিয়ে ফেলে। এ সময় তারা তার মুক্তিপন বাবদ ১ লক্ষ টাকা দাবী করে। রফিক টাকা কোথায় পাবে এমন কথা বলার পর তারা ১৫০ ও ২০০ টাকা দামের ২টি অলিখিত ষ্ট্যাম্প এ স্বাক্ষর নেয়। এরপর হত্যার হুমকি দেয়ার পর রফিক তার ছোট বোন মরিয়ম খাতুনকে মোবাইলে টাকা পাঠাতে বলে। মরিয়ম অতিকষ্টে বালাঘাটাস্থ একটি বিকাশ এজেন্টের দোকান থেকে সালা উদ্দিনের বিকাশ মোবাইল নাম্বার ০১৮১৪৭০২২১৮তে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা পাঠায়। রাত সাড়ে ৯টায় এই টাকা পাওয়ার পর মোঃ রফিককে ছেড়ে দেয় এবং মুক্তিপণের ১ লক্ষ টাকার বাকী ৭৯,৭০০ টাকা ২ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার জন্য বলে। সেই থেকে সালা উদ্দিন ও মিজান দু’জনেই একের পর এক মোবাইলে টাকা পরিশোধের জন্য হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

নিরীহ ক্ষুদ্র লাকড়ি ব্যবসায়ী রফিক সাংবাদিকদের জানায়, গত ১ আগষ্ট তিনি বান্দরবান সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি এখনো আমলে নেয়নি বলে জানান ভুক্তভুগি রফিক। তিনি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অভিযেগের বিষয়ে কোন ধরনের ব্যবস্থা না নেয়ায় পুলিশের স্বচ্ছ ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসার লোভ দেখিয়ে অপহরণ এবং মুক্তিপন আদায়ের মতো অপরাধের ঘটনায় পুলিশের ভুমিকার কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। রফিকের নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন এমন প্রত্যাশা এলাকার সচেতন মহলের।


(এএফবি/এস/আগস্ট ০৪,২০১৬)