সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালায়  এক কিশোরীকে ভারতে পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ-, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহেনূর জনাকীর্ণ আদালতে এ আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম আইয়ুব আলী সানা (৩৬)। সে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার আলাদিপুর গ্রামের আরিফ সানার ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৫ মে সকাল ৮টার দিকে তালা উপজেলার সুজনশাহ গ্রামের জামালউদ্দিন শেখের মেয়ে রেহেনা পারভিনকে তার বাড়ির পাশ থেকে অপহরণ করে কলারোয়া উপজেলার আলাইপুর গ্রামের আইয়ুব আলীসহ কয়েকজন। পরে তাকে বিয়ে করে সাতক্ষীরা শহরের রসুলপুরের একটি বাড়িতে আটকে রাখে আইয়ুব আলী। পরে তাকে ভারতে পাচার করা হয়।

এ ঘটনায় পাচার হওয়া কিশোরীর ভাই আইয়ুব আলী শেখ বাদি হয়ে ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা সদর থানায় ২০০০ সালের পাচার আইনের ৫(১) ধারায় একটি মামলা করেন। মামলায় আইয়ুব আলী সানা ও কলারোয়া উপজেলার রায়টা গ্রামের রহমতুল্লার ছেলে আমিরুল ইসলামকে আসামী শ্রেণীভুক্ত করা হয়।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক মনোয়ারা খাতুন ২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর এজাহারভুক্ত আসামীদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার নথি ও নয়জন সাক্ষীর জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে বিচারক আইয়ুব আলী সানার বিরুদ্ধে অভিযোগে সন্দেহাতীতভাবে প্রামণিত হওয়ায় তাকে উপরোক্ত কারাদ- ও জরিমানা করেন। দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় আমিরুল ইসলামকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। তবে সাজাপ্রাপ্ত আসামী আইয়ুব আলী পলাতক রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদা আক্তার বানু।

(আরেক/এটি/ এপ্রিল ০৮, ২০১৪)