হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : হালুয়াঘাটে প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো। জানা যায়, প্রসূতি মায়েদের ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবিস্থত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে সাধারণ রোগী, ও প্রসূতি মায়েদের যত্নসহকারে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন দায়িত্বে থাকা হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) স্বাস্থ্যকর্মীগণ। তারমধ্যে অন্যতম ভূমিকা পালন করছে উপজেলার স্বদেশী ইউনিয়নের বাউসা কমিউনিটি ক্লিনিক। বিনামূল্যে ঔষধ ও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র জনসাধারণ।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী “শেখ হাসিনার অবদান, কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সেবায় পরম ধর্ম এই মনোবৃত্তি নিয়ে হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) স্বাস্থ্যকর্মীগণ আন্তরিকতার সাথে কাজ করার কারণে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোড়গৌড়ায় পৌছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে চাকুরী রাজস্বখাতে অর্ন্তভূক্ত না করায় নিয়োগপ্রাপ্ত হেলথকেয়ার প্রোভাইডার কর্মীরদের মাঝে হতাশা বিদ্যমান রয়েছে।

উপজেলার ১২নং স্বদেশী ইউনিয়নের বাউসা কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত দেশের প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৮ প্রকার ঔষধ প্রদান করা হয়। অত্র কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিদিন গড় হিসেব অনুযায়ী ৬০-৭০ জন রোগীকে সেবা প্রদান করা হয়। সপ্তাহের ৬ দিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত চিকিৎসা কার্যক্রম চলমান থাকে। স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা রোগীদের মাঝে গর্ভবতী ও নবজাতক শিশুদের সংখ্যায় বেশি সাধারণ রোগী চেয়ে তুলনামূলক বেশি।

চিকিৎসা নিতে আসা, সুফিয়া খাতুন, আলেয়া বেগম, সালেহা, নূরজাহান ও নাছিমা আক্তার বলেন, এখন আর সামান্য সমস্যা হলে ১৫ কি.মি. দূরুত্বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয় না। গর্ভবতী মায়েদের ও নবজাতক শিশুদের কে কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সাবিনা আপার সু-চিকিৎসায় ও পরামর্শে আমরা অনেকাংশে উপকৃত হয়েছি এবং ভাল আছি। স্থানীয়রা জানায়, অপেক্ষমাণ রোগীদের বসার যথাযথ স্থান প্রয়োজনে চেয়েও অপ্রতুল। টয়লেট এবং ভবনটির সংস্কার একান্ত প্রয়োজন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকতা ডা: এম.এ কাদের এ প্রতিবেদক কে জানায়, উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সমস্যা চি‎ি‎হ্নত করা হয়েছে সংস্কারের জন্য স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে লিখিত আবেদন প্রদান করেছেন। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের মধ্যে সংস্কারের কাজ হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। অত্র উপজেলায় ২০ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষ ঔষধ ও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে বিনামূল্যে। জনগণের দোড়গৌড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার।

(জেসিজি/এএস/আগস্ট ২০, ২০১৬)