নওগাঁ প্রতিনিধি : বিজিবি নওগাঁ ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন কর্ত্তৃক বিভিন্ন সময় মালিক বিহীন অবস্থায় আটক বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য আনুষ্ঠানিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় ব্যাটালিয়ন চত্বরে আয়োজিত ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক রংপুর রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহরীয়ার আহমেদ চৌধুরী এনডিসি পিএসসি।

এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় বিজিবি নওগাঁ ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের পরিচালক অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ জাহিদ হাসান পিবিজিএম, জি+ সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পশ্চিম) মোঃ রকিবুল আক্তার এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রাজিউর রহমান।

অনুষ্ঠানে ২০১৫ সালের ১ মার্চ থেকে ২০১৬ সালের ২৮ আগষ্ট পর্যন্ত সময়ে আটক ৫৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা মুল্যের ১৩ হাজার ৬শ’ ৯০ বোতল ফেনসিডিল, ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৪শ’ টাকা মুল্যের ৮ শ’ ৪৮ বোতল বিভিন্ন প্রকারের মদ, ৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩শ’ ৫০ টাকা মুল্যের ৪ হাজার ৯শ’ ২৯ পিস ভারতীয় ইনজেকশন, ১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা মুল্যের ৬শ’ ২০ লিটার চোলাই মদ, ১৪ হাজার টাকা মুল্যের ৪ কেজি গাঁজা, ৭ হাজার ৯শ’ ৮০ টাকা মুল্যের ২ শ’ ৬৬টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট, ১ হাজার ২শ’ টাকা মুল্যের ৬ মিলিগ্রাম ভারতীয় হেরোইন, ১১ হাজার ৬শ’ টাকা মুল্যের ২৯ বোতল ভারতীয় কফ সিরাপ ডি এক্স এবং ৫৬ হাজার টাকা মুল্যের ৪ লিটার কালটার বিষ।

পরে বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহরীয়ার আহমেদ চৌধুরী স্থানীয় সাংবাদিক এবং ব্যাটালিয়নের আওতাভুক্ত সকল বিওপি কমান্ডারদের উদ্দেশ্যে আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে দেশের গবাদিপশুর চাহিদা পুরনে ভারত থেকে গরু আনা-নেয়া সম্পর্কিত বিজিবির অবস্থান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে কোন ভাবেই বাংলাদেশের কোন ব্যবসায়ী বা তাদের কোন লোককে সীমান্তের ওপারে যেতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে গরু নিয়ে যথারীতি বিট খাটালীর মাধ্যমে সরকারের নির্ধারিত ট্যাক্স পরিশোধ করে গরু দেশের বাজারে বিক্রি করতে হবে। কোন প্রলোভন বা প্ররোচনা দিয়ে গরীব লোকদের ভারতের অভ্যন্তরে না পাঠানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি তিনি আহবান জানান।

(বিএম/এএস/আগস্ট ২৯, ২০১৬)