স্টাফ রিপোর্টার : নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের মূল ফটক ও এর আশপাশের এলাকায়। এখানকার চারটির মধ্যে কাশিমপুর কারাগার-২ ও হাইসিকিউরিটি কারাগারের যেকোনো একটিতে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসি কার্যকর করা হবে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর।

মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রস্তুতির মধ্যে কারারক্ষীদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে র‌্যাব সদস্যদেরও। শনিবার দুপুর দুইটা ৩৫ মিনিটে তিনটি গাড়িতে করে এসে কারাগারের আরপি গেটের (চার কারাগারের মূল ফটক) সামনে অবস্থান নিয়েছেন র‌্যাব সদস্যরা।

দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দ্বিতীয় স্তরে রয়েছেন কারারক্ষীরা। কারাগারে প্রবেশের আগে রাস্তার মুখে সমদুরত্বে তৈরি করা হয়েছে দু’টি পুলিশ বেষ্টনীও (ব্লক রেড)।

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে কাশিমপুর কারাগার-২ এর ভেতরে ঢুকেছেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজি প্রিজন) কর্নেল ইকবাল হাসান।

কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেলার নাশির আহমেদ বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না বলে জানান মীর কাসেম আলী। এর পর থেকেই ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছি। কাশিমপুর কারাগার-২ ও হাইসিকিউরিটি কারাগার দু’টিতে একটি করে ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী মীর কাসেমকে এর যেকোনো একটিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে’।

শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার দু'দফায় ফাঁসির মহড়া দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই কারাগার এলাকার দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়াসহ কারাগারের নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। কারাগারে প্রবেশ করে জলকামানও।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৬)