সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরের হাতিয়া উপকূলে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবিতে নিহত আরও তিন বাংলাদেশি জেলের মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে মরদেহগুলো বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফর কোম্পানী কমান্ডার শিবদত্ত সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভোমরা ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার সিরাজুল গনির কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করেন। তবে, ফেরত আসা মরদেহগুলোর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফর কোম্পানী কমান্ডার শিবদত্ত, ভারতের পাথর প্রতিমা থানার এসআই কাত্তিক মূখার্জী, ঘোজাডাঙ্গা ইমিগ্রেশন ওসি প্রশান্ত ঘোষ ও বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন, সাতক্ষীরা ৩৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভোমরা ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার সিরাজুল গনি, ভোমরা ইমিগ্রেশন ওসি সুব্রত কুমার, সদর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম।

ভোমরা বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার সিরাজুল গনি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহগুলো সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই রফিকুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত; একই ঘটনায় নিহত আরও সাত বাংলাদেশি জেলের মরদেহ গত ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। মরদেহগুলো রাতে সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এবিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩০ আগস্ট স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে ভারতের পাথর প্রতিমা থানার আওতাধীন গোবিন্দপুর হাবাদ গঙ্গামেলা নদীর ঘাট থেকে একটি অর্ধডোবা ট্রলার উদ্ধার করে সেখানকার পুলিশ। উদ্ধারকৃত ট্রলার থেকেই ওইদিন সাতটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে আরও তিনটি মরদেহ উদ্ধার হয়।

উদ্ধারকৃত ট্রলারের বডিতে লেখা রয়েছে ঋই নূর আলম, চট্রগ্রাম LTC-NO-FB-২৪৭০। ট্রলার থেকে ভারতীয় পুলিশ একটি বাংলাদেশি মোবাইল উদ্ধার করে, যার নম্বর ০১৭১৬-২৭৬৮৮৯।

ওই নম্বরে বিজিবির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে নোয়াখালী জেলার বীরগিড়ি গ্রামের হাজী মোতালেবের ছেলে নবীর উদ্দিন ফোনটি রিসিভ করেন এবং বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ট্রলারটি ১৭জন জেলে নিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল।

(আরকে/এএস/সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৬)