টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও ইট ভর্তি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশু ও নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন।

স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন- কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার মমিনুল ইসলামের স্ত্রী ছালমা আক্তার (২৫), কুড়িগ্রামের রাজার হাট উপজেলার রহিমা (৩০) ও তার ছেলে বায়োজিদ (৭)।

এদিকে, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. মাহাবুব হোসেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবাবারে কাছে পৌঁছানো বাবদ ২০ হাজার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে তাৎক্ষণিকভাবে অনুদান ঘোষণা করেছেন বলে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম আহমেদ জানিয়েছেন।

জানা গেছে, শনিবার সকাল সোয়া সাতটার দিকে মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার ইচাইল নামকস্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে হাইওয়ে ও থানা পুলিশ গিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত বাস-ট্রাক রেকারের সাহায্যে মহাসড়ক থেকে সড়িয়ে নিলে সকাল আটটার দিকে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।

পুলিশ ও আহত যাত্রীরা জানান, কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জাবেলনুর নামের যাত্রীবাহী বাস ও টাঙ্গাইলগামী ইট ভর্তি ট্রাকের সঙ্গে মহাসড়কের ওইস্থানে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে এক শিশু ও নারী নিহত হয়। আহত হয় কমপক্ষে ২৫ যাত্রী। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা ও হাইওয়ে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে পাঠায়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক নারী ও এক পুরুষ নিহত হয়। আহতদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. দুলাল চন্দ্র পোদ্দার জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত যান মহাসড়ক থেকে দ্রুত সড়িয়ে নেয়ায় যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৬)