সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : রবিবার মাঝরাতে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর শ্রীপুর লঞ্চঘাট এলাকায় প্রবল জোয়ারের চাপে কপোতাক্ষ নদের ১৫০ ফুট বেঁড়িবাধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে কুড়িকাউনিয়া ও শ্রীপুর দুটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে শতাধিক মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার।

প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য কুড়িকাহনিয়া গ্রামের খলিলুর রহমান জানান, আয়লা পরবর্তী যথাযথ সংস্কার না হওয়ায় আশাশুনি উপজেলার বেশ কিছু বাঁধ দুর্বল অবস্থায় রয়ে যায়। এর ফলে প্রতি বছর শ্রীপুর লঞ্চঘাট, সুভদ্রকাটিমহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার রাত ১২টার দিকে প্রবল জোয়ারের তোড়ে শ্রীপুর লঞ্চঘাটের পাশে ৭/২ নং পোল্ডারের ১৫০ ফুট বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ফলে শ্রীপুর ও কুড়িকাহনিয়া গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে শতাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে শতাধিক মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি।

প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাািকর হোসেন জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রায় দুই শতাধিক মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বেড়িবাধটি সংস্কার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেড়িবাধটি সংস্কার করা না গেলে পরবর্তী জোয়ারে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলাতির কারণেই প্রতাপনগর ইউনিয়নবাসীর এই দুর্দশা। বারবার বলা শর্তেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংস্কারে তেমন কোন উদ্যোগ নেননি।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড- ২ এর সেকশান অফিসার আবুল হোসেন জানান, তিনি ঘটনাস্থল ঘুরে এসে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। স্থানীয় জনগনকে কাজ করার সুবিধথার্থে এক হাজার খালি সিমেন্টের বস্তা ও দুই শত বাঁধ দেওয়া হয়েছে।

(আরকে/এএস/সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৬)