দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ী : শরতের আকাশ এবং বাতাসের দোলা দেওয়া কাশফুল জানান দেয় সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজার ক্ষণ গণনা। এবারে দেবী দুর্গা ঘোড়ায় আসবেন এবং একই ভাবে আবার মর্তে চলে যাবেন। দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিতে এবার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজবাড়ী জেলার পূজারীরা।

এবার দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিতে ভিন্ন আঙ্গিকে মন্দির নির্মাণ করছে গ্রাম জামালপুরের গোবিন্দ বিশ্বাস। তিনি বলেন এক একর পুকুরের উপর পাঁচ হাজার বাঁশ দিয়ে জল থেকে ৬০ ফুট উচু এবং ১৫০ ফুট দৈঘ্যের মন্দির নির্মান করছেন। তিনি বলেন, চার তলা বিশিষ্ট মন্দিরে ২০১ টি প্রতিমা স্থাপন করে রামায়ন-মহাভারত এবং স্বর্গ-নরকের আলোকে ফুটিয়ে তোলা হবে।

বাঁশ দিয়ে মন্দির নির্মানের প্রধান কারিগর জ্ঞানেন্দ্র নাথ মন্ডল বলেন, আমরা ত্রিশ জন শ্রমিক প্রায় চার মাস ধরে এখানে কাজ করে প্রায় শেষের পথে চলে এসেছি। তিনি আরো বলেন, এই মন্দির উপমহাদেশের সেরা মন্দির।

গ্রাম-জামালপুর পূজা কমিটির সাধারন সম্পাদক বিধান কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, আমরা ভিন্ন আঙ্গিকে দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখেই এই চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, গতবার থেকে এখানে ভক্তদের আগমন বেশি ঘটবে।

পূজার নিরাপত্তা নিয়ে বালিয়াকান্দির অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল ইসলাম, পিপিএম বলেন, বালিয়াকান্দিতে আসন্ন দূর্গা পূজা উপলক্ষে নিঃছিদ্র নিরাপত্তা থাকবে। তিনি আরো বলেন, যেহেতু গোবিন্দ বিশ্বাসের বাড়ি ৩-৪ লক্ষ ভক্তদের আগমন ঘটে সেহেতু এখানে আদালা করে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করছি।

কুষ্টিয়া থেকে আসা এক ব্যক্তি বলেন, প্রতি বছর এখানে পূজা দেখতে আসি কিন্তু এই স্থাপনা কিভাবে নির্মাণ করা হয় সেটা দেখার জন্য আজ পরিবারের সবাই মিলে এখানে এসেছি। তিনি বলেন সত্যি একটি অকল্পনীয় বিষয় এখানে।

(ডিবি/এএস/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৬)