আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশের সহযোগিতা থেকে এবার বঞ্চিত হলো পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার রাশিয়াও ভারতের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। আনন্দবাজারের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কাশ্মির ইস্যুতে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এবার দৃশ্যতই ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তার নিজের ভূখণ্ডে জঙ্গি দমনে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে বলেছে রাশিয়া। একই সঙ্গে কাশ্মির নিয়ে মতবিরোধকে লাগাতার গুলিযুদ্ধের পর্যায়ে ধরে না রেখে আলোচনার টেবিলে বসেই সমস্যার সমাধান করতে বলেছে রাশিয়া।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিয়ন্ত্রণ রেখায় সাম্প্রতিক যে বাড়াবাড়ি হয়েছে, সে সম্পর্কে সব খবর আছে আমাদের কাছে। আমাদের আশা, এই পরিস্থিতি অবিলম্বে বন্ধ করে নিজেদের ভূখণ্ডে জঙ্গি দমনে কার্যকরী ব্যবস্থা নেবে পাকিস্তান। আর কাশ্মির সমস্যা দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনার মধ্যেই মিটিয়ে নেবে ভারত ও পাকিস্তান।’

এদিকে, উরি হামলার পর দ্বিতীয় বারের মত যুক্তরাষ্ট্রের অসন্তোষের পাত্র হয়েছে পাকিস্তান। ভারতের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’র পর নিজেদের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে গত দু’সপ্তাহে পাক মন্ত্রীরা যেভাবে বাগাড়ম্বর করেছেন এবং পরোক্ষভাবে তারা পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন তা মোটেও পছন্দ হয়নি মার্কিন প্রশাসনের। পাকিস্তানের এমন হুমকিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের আপত্তি, অসন্তোষের কথা বার বার স্পষ্ট করে পাকিস্তানকে বলে দিয়েছি।’ তবে আমেরিকার ওই আপত্তি, অসন্তোষের কথা পাক প্রশাসনের কোন স্তরে জানানো হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।

এর আগে, উরি হামলার পরপরই মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুসান রাইস টেলিফোন করে ইসলামাবাদকে জঙ্গি দমনে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন।

তবে ভারত বা পাকিস্তান কারো নাম উল্লেখ না করে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মুখপাত্র মার্ক টোনার বলেছেন, ‘যে দেশগুলি পরমাণু অস্ত্রে শক্তিশালী, ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারে সেই দেশগুলির সংযত আচরণই সকলের কাম্য।’

(ওএস/এএস/অক্টোবর ০১, ২০১৬)