নওগাঁ প্রতিনিধি : শুক্রবার থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পুজো শুরু। মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমায় রং-তুলির পাশাপাশি মন্ডপ সাজানোর কাজ। প্রতিটি পুজো মন্ডপ এলাকায় বিরাজ করছে আগাম উৎসবের আমেজ।

প্রতিমার ফিনিসিং আর মন্ডপ সাজাতে মহাব্যস্ত সময় পার করছেন, কারিগর আর মন্ডপ কমিটির লোকজন। সেই সঙ্গে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি বাড়ি উৎসব শুরু হয়েছে। বাড়ির গৃহিনীদেরও যেন ফুরসত নেই। হরেক রকম নাড়ু আর মিঠাই সামগ্রীর পাশাপাশি নতুন নতুন খাবার তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। নারকোল নাড়ু,আটার নাড়ু, তিলের নাড়ু, ব্যাসনের ঝুরির নাড়ুসহ নানা রকম মিষ্টান্ন তৈরিতে কে কত নতুনত্ব আনতে পারে, এমন প্রতিযোগিতায় যেন মত্ত তারা। সেই সঙ্গে কেনা-কাটাতেও কেউ পিছিয়ে নেই। কে কত দামের, কেমন ডিজাইনের পোষাক কিনলো, সেই হিসেব নিয়েও ব্যস্ত তারা। সব দিক দিয়েই যেন আনন্দ-উৎসবের শেষ নেই।

এবার নওগাঁ জেলায় ৭শ’৩৮ মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে নওগাঁ পৌর এলাকাসহ সদর উপজেলায় ১০২টি, মহাদেবপুরে ১৫৩টি, মান্দায় ১১৬টি, আত্রাইয়ে ৪৬টি, পোরশায় ২০টি, ধামইরহাটে ২৪টি, বদলগাছীতে ৮৪টি, রানীনগরে ৪০টি, নিয়ামতপুরে ৬২টি, সাপাহারে ১৪টি ও পত্নীতলায় ৭৭টি মন্ডপ স্থাপন করা হয়েছে। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নির্মল কৃষ্ণ সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে প্রতিটি পুজো মন্ডপে ব্যাপক নিরাপত্তামুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক বিপিএম, পিপিএম জানান, পুজো মন্ডপ এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে প্রয়োজনীয় আনসার, পুলিশ মোতায়েনসহ পুলিশ ও র‌্যাবের টহল জোড়দার থাকবে। এছাড়া প্রতিটি মন্ডপের স্বেচ্ছাসেবক দল সর্বদা দায়িত্ব পালন করবে। কোন পুজো মন্ডপে কাউকে ব্যাগ বা পোটলা নিয়ে ঢুকতে দেয়া হবেনা। বোরখা পরিহিত নারীদেরও নারী আনসার বা নারী পুলিশ দ্বারা তল্লাশী করা হবে।

জেলা প্রশাসনের ত্রান ও পুনর্বাসন অফিস সূত্র জানায় প্রতিটি পুজো মন্ডপে সরকারীভাবে ৫শ’ কেজি করে চাল বিতরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

(বিএম/এএস/অক্টোবর ০৫, ২০১৬)