নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের দুইটি মামলার জেরা সম্পন্ন করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে আসামিদের জেরা করা হয়।

সাত খুনের দুইটি মামলায় গ্রেফতারকৃত নূর হোসেন, র্যাবের চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এম এম রানাসহ ২৩ আসামির উপস্থিতিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মন্ডলকে জেরা করা হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা করে কোনো ধরনের বিভ্রান্ত করতে পারেনি। মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে যে ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে তা জবাব দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সোমবার ১০ আসামির আইনজীবীরা তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জেরা করেছেন। আর এর মধ্যদিয়ে ৩৫ জন আসামির পক্ষেই জেরা শেষ হয়েছে। এখন মামলাটির অচিরেই যুক্তিতর্ক হবে। আগামী ২৪ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান জানান, সোমবার ১০ আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবীরা জেরা করে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি। জেরায় যে ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে- তার সঠিকভাবে জবাব দিতে সক্ষম হয়েছে। সাত খুনের ঘটনায় গ্রেফতাররকৃত ৩৫ জন আসামির পক্ষেই জেরা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৪ অক্টোবর পরবর্তী শুনানিতে আদালতে আসামিদের পরীক্ষা করা হবে। জেরা শেষ হওয়ার পর খুব দ্রুত মামলার রায় ঘোষণা করবে আদালত।

তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ মন্ডল বর্তমানে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক হিসেবে রয়েছেন। যিনি সাত খুনের মামলার চার্জশিট আদালতে জমা দেয়ার সময়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, সাত খুনের ঘটনায় দুইটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অপর বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। দুইটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭ জন করে। এখন পর্যন্ত সাত খুনের দুইটি মামলায় অভিন্ন ১২৭ সাক্ষীর মধ্যে ১০৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন শেষ। এরপর জেরাও সম্পন্ন হয়েছে।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ১০, ২০১৬)