চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে অসুস্থ গরুর মাংস গোপনে বিক্রির অভিযোগে বৃহস্পতিবার ৪ মাংস বিক্রেতাকে (কসাই) জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পৌর শহরের জারদ্রিস মোড় এলাকা থেকে সাড়ে ৫ মণ অসুস্থ গরুর মাংস ও একটি করিমন গাড়ি সহ চার কসাইকে আটক করে চাটমোহর থানা পুলিশ।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, পাশ্ববর্তী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের দিঘইর গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে আলম হোসেন (৪০), নূরু মিয়ার ছেলে ফারুক হোসেন (৪৫), উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ধরইল গ্রামের আজাহার প্রাং-এর ছেলে লুৎফর রহমান (৪৮) এবং গুনাইগাছা ইউনিয়নের চরমথুরাপুর গ্রামের আলী আজগরের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩০)।

বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বেগম শেহেলী লায়লা ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে তাদের প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে মোট ৪ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।

স্থানীয়রা জানান, পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া উপজেলার শাহনগর গ্রামের মো. ছগির উদ্দিনের ছেলে গোলাজারের একটি গাভী গরু অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার সন্ধ্যায় তা কেটে ফেলা হয়। পরে খবর পেয়ে জোনাইল এলাকার আলম কসাই ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গাভী গরুটির মাংস মাত্র সাড়ে ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নেয়।

পরে তারা জীবননগর এলাকায় জনৈক এক ব্যক্তির (নাম জানা যায়নি) আরও একটি অসুস্থ গরুর মাংস কিনে ইঞ্জিন চালিত করিমন যোগে রাত সাড়ে ৩টার দিকে জোনাইলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌর শহরের জারদ্রিস মোড় এলাকায় পুলিশ মাংস সহ গাড়ি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা খবর পেয়ে মাংসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যান।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তপন দেবনাথ বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে থানায় গিয়ে গরুর মাংসের নমুনা সংগ্রহ করেছি। গরুটি অসুস্থ ছিলো। প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে মাংসগুলো মানুষের খাওয়ার যোগ্য নয় বলে রিপোর্ট দিয়েছি এবং মাটির নিচে মাংসগুলো পুঁতে ফেলার জন্য থানা পুলিশকে জানিয়েছি।’

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল হক সরকার জানান, অভিযুক্তদের ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করেছেন। জব্দকৃত মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে বলেও তিনি জানান।

(এসএইচএম/এএস/অক্টোবর ১৩, ২০১৬)