নোয়াখালী প্রতিনিধি  : নোয়াখালী সুবর্ণচরে রয়েছে ৬ টি ব্যাংক শাখা যথা, সোনালী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ইসলামি ব্যাংক সবগুলি ব্যাংক শাখার বিরুদ্ধে রয়েছে গ্রাহকদের নানা অভিযোগ ।

বেশ কয়েক মাস ধরে উপরোক্ত ব্যাংক শাখা গুলো ৫ টাকার কয়েন, ৫ টাকার নোট ও ১০ টাকার নোট না নেওয়ায় গ্রাহক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও সাধারণ পেশাজীবি মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এতে প্রতিনিয়ত ব্যাংক শাখা গুলোয় চলছে চরম উত্তেজনা। এতে করে ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা খুচরো টাকার বান্ডেল নিয়ে বিপাকে পডেছেন। এলাকার স্থানীয় মসজিদ গুলোয় মুসল্লিরা যেন খুচরা টাকা না দেন সে জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জেনরা। উপজেলার ছোট-বড় বাজার গুলো ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা কোনো পণ্য কিনলে বিক্রেতা খুচরা টাকা নিতে অস্বিকৃতি জানান এতে করে প্রতিদিন ক্রেতা বিক্রেতার মাঝে ঝগড়া-ঝাটি, বাক-বিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেই চলছে।

সুবর্ণচর উপজেলার পশ্চিম চরজুবিলী গ্রামের মৃত হাসেম মিয়ার ছেলে মোঃ রহমান মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তিনি ৭৪ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে নেন, এর মধ্যে ৫ টি ১০ টাকার নোটের বান্ডেল থাকায় ম্যানেজার সামছুজ্জামান নিতে অস্বীকৃতি জানান এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয় পরে তিনি একটি বান্ডেল রেখে ৪ টি বান্ডেল ফেরত দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে আলাপ কালে তিনি জানান খুচরা টাকা নেওয়ার মত ভোল্টে জায়গা নেই । একই অভিযোগ করেন হারিছ চৌধুরী ।

একই বাজারের ব্যাবসায়ী জয়নাল আবেদীন বকুল জানান তার কাছে ৫ টাকার প্রায় ১ লক্ষ টাকা রয়েছে কিন্তু ওয়ান ব্যাংকের সাথে লেনদেন থাকলেও তারা খুচরা টাকা নিতে আগ্রহী নয়। তাকে সাথে নিয়ে ওয়ান ব্যাংকে গেলে ম্যানেজারের অনুপস্থিতিতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামও দায়সারা কথা বলেন । তিনি সোনালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, খুচরা টাকার বান্ডেল সোনালী ব্যাংকে এক্সেনজ করতে নিলে ৫শ ১ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়, তারই অভিযোগের ভিত্তিতে হারিছ চৌধুরী বাজার শাখার সোনালী ব্যাংকে গেলে ম্যানেজার কোন উত্তর দিতে রাজি হননি । তিনি বলেন, টাকা লেন-দেনের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না ক্যাশিয়ার জানেন উক্ত ব্যাংকের ক্যাশিয়ার বাহার চৌধুরী কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সধউত্তর দিতে পারেননি। সুবর্ণচরে সোনালী ব্যাংকের দুটি শাখা রয়েছে দুটি শাখারই ম্যানেজার এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে হীন মনোভাব, দুর্নিতী-অনিয়ম সহ নানা বিষয়ে অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগিরা।

উল্লেখিত বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হারুন অর রশিদের সাথে আলাপ কালে তিনি ব্যাংক শাখা গুলোর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। সচল টাকা অচল কেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুজছে সুবর্ণচরের সাধারণ মানুষ তাদের দাবী উপরোক্ত বিষয়গুলো বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রাইভেট ব্যাংক সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ব্যাবস্থা নেওয়া হয়।




(আইইউএস/এএস/অক্টোবর ১৮, ২০১৬)