সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : দু’ সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দি করে মাটির নীচে পুঁতে ফেলা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের চাপারডাঙ্গী গ্রামের একটি চিংড়ি ঘেরের পাড় থেকে ওই গৃহবধূর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নিহতের স্বামীসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।

নিহতের নাম আছিয়া খাতুন (২৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার চাপারডাঙি গ্রামের আমজাদ গাজীর স্ত্রী।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আছিয়া খাতুনের স্বামী চাপারডাঙ্গী গ্রামের আমজাদ গাজী ও তার বন্ধু কবীর হোসেন।

আলীপুর গ্রামের আব্দুল খালেক গাজী জানান, নং বছর অঅহে তার সঙ্গে একই উপজেলার চাপারডাঙি গ্রামের আমজাদ গাজীর বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের দু’টি পুত্র সন্তান রয়েছে। পার্শ্ববর্তি গ্রামের এক স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাকে আমজাদ গোপনে বিয়ে করায় আছিয়ার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আছিয়াকে কয়েকবার মারপিট করে আমজাদ। স্থানীয়ভাবে শালিসি বৈঠকে আমজাদ হাজির হয়নি।

সোমবার সকালে আমজাদ ঘেরের কাজ করার জন্য চাপারডাঙি গ্রামে তার মালিকের মাছের ঘেরে ডেকে নিয়ে যায় আছিয়াকে। সেখানে তাকে পিটিয়ে নির্যাতন করার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে আমজাদ ও তার বন্ধু কবীর। পরে লাশ বস্তায় ভর্তি করে ভেড়ির মাটিতে গর্ত করে পুঁতে রাখে তারা। রাত আটটার দিকে ঘের মালিক রক্ত দেখে থানায় খবর দেয়। রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পুলিশ ওই লাশ উদ্ধার করে। রাতেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আমজাদ ও কবীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্যা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে আছিয়ার লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। নিহতের শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আব্দুল খালেক বাদি হয়ে জামাতা আমজাদ হোসেনসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে মঙ্গলবার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত আমজাদ ে কবীর হোসেনকে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

(আরকে/এএস/অক্টোবর ১৮, ২০১৬)