আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় পুলিশ ট্রেনিং কলেজে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৬২ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ৫৯ জন নবনিযুক্ত পুলিশ সদস্য। ওই কলেজে তাদের প্রশিক্ষণ চলছিল।

সোমবার রাতে সারিয়াব রোডের ওই কলেজে ৪-৫ জনের একদল আত্মঘাতী সন্ত্রাসী এ হামলা চালায়। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে হামলাকারীর সংখ্যা ৩ বলা হলেও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টিলিজেন্স (আইএসআই) মনে করছে, ৫-৬ জন সন্ত্রাসী এ হামলা চালিয়েছে।

প্রাদেশিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি বলেছেন, হামলার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ফ্রন্টিয়ার কর্পসসহ নিরাপত্তা বাহিনী ছুটে গিয়ে অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে ৩ সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে। যদিও দু’জন আত্মঘাতী বিস্ফোরণেই প্রাণ হারিয়েছে, তৃতীয় জন মরেছে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, হামলার সময় ওই কলেজে নবনিযুক্ত ৭০০ পুলিশ সদস্য ছিলেন, এদের নিয়োগ পরবর্তী প্রশিক্ষণ চলছিল।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাওয়া আধা সামরিক বাহিনী ফ্রন্টিয়ার কর্পসের মহাপরিদর্শক মেজর জেনারেল শের আফগান বলেন, হামলাকারীরা আফগানিস্তানে তাদের নির্দেশকদের সঙ্গে কথা বলছিল। তিনজনের গায়েই আত্মঘাতী বিস্ফোরক ছিল।

তিনি ধারণা করছেন, এই হামলায় জড়িতরা লস্কর-ই-জাংভি আল আলমির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, এখন পর্যন্ত ৫৭টি মরদেহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ১১৬ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে। অভিযানকালে ফ্রন্টিয়ার কর্পসের কিছু সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদেরও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশ সদস্য জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ৪ সন্ত্রাসী কলেজে ঢুকে পড়ে। ঢুকেই তারা নির্বিচারে গুলি ছুড়তে থাকে এবং দু’জন আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এর আগে ২০০৬ ও ২০০৮ সালেও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয় ট্রেইনিং কলেজটি। সেসময় কলেজ মাঠে রকেট নিক্ষেপ করে সন্ত্রাসীরা। ৮ বছরের মাথায় আবারও আক্রান্ত হলো বেলুচিস্তানের সবচেয়ে ব্যস্ত ট্রেইনিং কলেজটি।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২৫, ২০১৬)