বাকৃবি প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সক্রিয় ছাত্র-রাজনীতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন সময় তাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ের বিভিন্ন কৌশলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অবকাঠামোয় দেয়াল লিখন করে থাকে। দেয়াল লিখনে দাবিসহ সংগঠনের নাম রঙিন করে দেয়ালে ঠাঁয় পায়। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ঘুরলেই বিভিন্ন প্রাচীর বা ভবনের দেয়ালে চোখ পড়বে এসব দেয়াল লিখনি।

অনুমতি ব্যতিরেকে দেয়াল লিখন করায় সেসকল ছাত্র-রাজনীতিক (ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফ্রন্ট) সংগঠনকে প্রক্টর স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে দেয়াল লিখন বন্ধ করা না হলে প্রশাসনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম জাকির হোসেন বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় ছাত্র-রাজনীতিক সংগঠনগুলোর সাথে আলোচনা করে বলেছিলাম তারা যেনো আবাসিক এলাকা, নতুন ও বড় বড় স্থাপনায় দেয়াল লিখন না করে। তা সত্ত্বেও দেখা যাচ্ছে তারা সেগুলো অমান্য করেেছ এজন্য তাদেরকে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

ছাত্র ফ্রন্টের বাকৃবি শাখার একাংশের সভাপতি রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, এটা প্রশাসনের অগণতান্ত্রিক আচরণ। দাবি আদায়ের জন্য দেয়াল লিখন ছাত্র আন্দোলনের অনেকদিনের ঐতিহ্য। আমাদের লেখার ধারা অব্যহত থাকবে।

ছাত্র ফ্রন্টের বাকৃবি শাখার অন্য অংশের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ দাস বলেন, এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের নির্দিষ্ট করে দিতে পারতো যেখানে যেখানে দেয়াল লিখন করা যাবে না কিন্তু তা না করে হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্তে আমরা হতবাক।

ছাত্র ইউনিয়নের বাকৃবি সংসদের সভাপতি তানভীর আহমেদ রিয়াদ বলেন, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এটা প্রশাসনের অগণতান্ত্রিক আচরণ।

(এমএসএস/এএস/নভেম্বর ০৫, ২০১৬)