নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা সদর বাজার কলা বাগান সংলগ্ন প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ ধীরগতি ও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএ হান্নান ভবন নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে কাজের মান নিয়ে মন্তব্য করেছেন। ভবন নির্মাণের কাজ ধীরগতি ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএ হান্নান ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে মের্সাস দাস টেড্রাসের কাজের গুণগতমান নিয়ে।

এলাকা, মুক্তিযোদ্ধা ও সচিবের মতে ভবন নির্মাণে অগ্রগতি ইট, বালু, সিমেন্ট, পাথর ও নিম্নমানের আন্ডারসাইজ রড দিয়ে করা হচ্ছে। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে মের্সাস দাস টেড্রার্স সম্পন্ন না করে ধীরগতিতে কাজ করায় ভবনের কাজটি ধামা চাপা দিয়ে কাজ করছে।

সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডির) অধিনে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫৫ ফুট লম্বা ও ৩৮ ফুট প্রস্থ্য তৃতীয় তলা বিশিষ্ট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটির শেষ করতে ১ বৎসর সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। কিন্তু প্রায় দুই বৎসর অতিবাহিত হলেও এপর্যন্ত মাত্র কাজের ৬০ভাগ কাজের অগ্রগতি হয়েছে।

সিডিউল শর্তানুযায়ী মালসামগ্রী ব্যবহার না করে মের্সাস দাস টেড্রাস ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাদের ইচ্ছেমতো নিম্নমানের ইট, বালু, পাথর, সিমেন্ট ও আন্ডারসাইজ রডসহ অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। কাজের গুণগত মান তদারকি করতে উপজেলা প্রকৌশলী ও এস ও নিযুক্ত থাকলেও ঠিকাদার উপজেলা প্রকৌশলী ও এসও কে ম্যানেজ করে দায়সারা ভাবে ভবনের নির্মাণ কাজ করছে।

এব্যাপারে মের্সাস দাস টেড্রার্সের পরিচালক দীলিপ কুমার সাহার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ভবনের কাজ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় যে মন্তব্য করেছেন তা সঠিক নয় এবং সিডিউল মতে কাজ করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রকৌশলী এ,এটি,এম, রবিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজের মান নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এমএ হান্নান স্যার পরিদর্শনে এসে যে মন্তব্য করেছেন। আমি সচিব স্যারের কথামতো ভবনের নির্মাণের বাকী কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।




(অারএসআর/এস/নভেম্বর ১৩ ,২০১৬ )