নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ জেলায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধান কাটা ও মাড়াই কাজ চলছে পূরোদমে। হাট বাজারে এখন বিপুল পরিমানে নতুন আমন ধান উঠেছে। কয়েক মাস আগে ধান অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া বয়লার চাতাল কলগুলো আবারও সচল হয়ে উঠেছে। বন্ধ থাকা চাতাল কলের বেকার শ্রমিকরা আবার কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছে। চাতালে চাতালে এখন ধান শুকানোর কাজে কর্মব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে নারী-পুরুষ শ্রমিকরা।

সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ধান অভাবে যে চাতাল কলগুলো বন্ধ হয়ে পড়েছিল, সে চাতাল কলগুলো এখন কর্মমুখর হয়ে উঠেছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর এ এলাকায় আমন ধানের ফলন ভাল হওয়ায় চাতাল কলগুলোতে ধানের সরবরাহ হচ্ছে পর্যাপ্ত।

জেলার মহাদেবপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় লাইন্সেস প্রাপ্ত ৩শ’ ৩৬ টি চাতাল কল ও ১৮টি অটো রাইসমিল রয়েছে। এসব অটো এবং চাতালকলে প্রায় ১২ হাজার নারী-পুরুষ শ্রমিক কাজ করে। এসব চাউল কল নতুন ধান উঠার পর পুরোদমে চালু হওয়ায় শ্রমিকদের ব্যস্ততা ও আয় দুটোই বেড়েছে। চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই চালকলগুলো চাল উৎপাদনে ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব চাউলকলে অধিক পরিমাণ শ্রমিকের প্রয়োজন হওয়ায় পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে চাতাল কন্যা হিসাবে পরিচিত নারী শ্রমিকদেরও কদর বেড়েছে। তবে চাতালে কর্মরত নারী শ্রমিকরা মজুরী বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

একজন পুরুষ শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করে ২শ’ থেকে ২শ’ ৫০ টাকা পেলেও এক জন নারী শ্রমিক পায় মাত্র ১২০ থেকে ১৫০ টাকা।

এব্যাপারে মহাদেবপুর চাউকল মালিক গ্রুপ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক জানান, এবার এই উপজেলায় রোপা আমন ধানের ভাল ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ উপজেলার অটো এবং চাতাল চালকলগুলো পুরোদমে উৎপাদন শুরু করেছে। অন্যান্য বছরের মত এবারও মহাদেবপুরে উৎপাদিত চাল দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানী করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন ওই চালকল গ্রুপের নেতা।





(বিএম/এস/নভেম্বর ১৬, ২০১৬)