নওগাঁ প্রতিনিধি : শুক্রবার দিনগত রাতে নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ রক্ষা মা কালিতলা বাবা লোকনাথ মন্দিরে তালা ভেঙ্গে এবং মহাদেবপুর সদরের সোনার পট্টিতে মেসার্স কোহিনূর জুয়েলার্স নামে এক সোনার দোকানে  সিঁধ কেটে দুঃসাহসিক চুরি হয়েছে। পৃথক দু’টি চুরির ঘটনায় নগদ টাকা ও স্বর্ণলংকারসহ ৬০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি গেছে।

পার-নওগাঁ লোকনাথ মন্দিরের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক যথাক্রমে মনোরঞ্জন রায় ও লক্ষ্মন চন্দ্র সরকার জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে প্রতিদিনের সান্ধ্য পুজোর পর তারা মন্দিরে তালা দিয়ে বাসায় যান। শনিবার সকাল ৮টার দিকে এসে তারা মন্দিরের তালা ভাঙ্গা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। চোর লোকনাথ বাবার কপালের সোনার টিপ, গলায় ঝুলানো সোনার তৈরী বেলপাতা ও তুলশী পাতার মালা এবং দানবাক্সের তালা ভেঙ্গে নগদ প্রায় সাড়ে ৮হাজার টাকা নিয়ে যায়। এতে মন্দিরে নগদ টাকাসহ প্রায় ৩০ হাজার টাকা লুট হয়েছে বলে জানানো হয়। খবর পেয়ে থানার ওসি তোরিকুল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলর হাসান ইমাম তমাল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ সরকার মনি, সাধারন সম্পাদক বিভাস মজুমদার গোপাল, যুগ্ম সম্পাদক পিযুষ কান্তি সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় মাদকসেবীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সে কারনে এলাকায় হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগলসহ ছিঁচকে চোরের উপদ্রব বেড়েছে। অপরদিকে মহাদেবপুরের কোহিনুর জুয়েলার্সের সত্বাধীকারী আতিকুর রহমান জানান, শুক্রবার প্রতি দিনের মত রাত ৯ টার দিকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তালা বন্ধ করে মহাদেবপুরস্থ বাসায় যান। শনিবার সকালে তিনি দোকান খোলার পর দেখতে পান তার পার্শ্ববর্তী অপর স্বর্ণ দোকানের পিছনের ইটের দেয়াল কেটে ওই দোকানে ঢুকে তার এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি সিন্ধুক ভেঙ্গে বিভিন্ন ধরনের স্বর্ণের বালা, ঝুর চূড়ি ও মালাসহ ১ শ’ ২৫ ভরি স্বর্ণলংকার, ২ লাখ টাকার ডায়মন্ড এবং নগদ ৬০ হাজার টাকা চুরি গেছে। এ ব্যপারে মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্বর্ণের দোকান চূরির সত্যতা স্বীকার করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাবের রেজা আহম্মেদ জানান, ওই কোহিনূর জুয়েলার্সের ভিতরে থাকা সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ থেকে জানা যায়, মুখোশ পরিহিত এক ব্যক্তি ওই স্বর্ণের দোকানে রাত সোয়া ১২টার দিকে ঢুকে সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এ ভিডিও ফুটেজটির সূত্র ধরে অপরাধীকে চিহ্নিত করাসহ চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধারে পুলিশী প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

(বিএম/এএস/নভেম্বর ১৯, ২০১৬)