সঞ্জিব দাস, গলাচিপা : পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের উলানিয়া বাজার তেতুলিয়া নদীর মোহনায় উলানিয়া ও রণগোপালদী বাজার সংযোগ খেয়াঘাটটি তে প্রতিদিন প্রায় দশ হাজার যাত্রী চলাচল করে আসছে। কিন্তু খেয়াঘাটের যাত্রী উঠানামার সু-ব্যবস্থা না থাকার কারণে যাত্রীরা অনেক ভোগান্তি শিকার হচ্ছিল বলে এলাকাবাসীর সূত্র থেকে জানা যায়।

পরবর্তীতে ঐ খেয়াঘাটের উপর প্রতিবেদন করা হলে খেয়ার চলমান ইজারাদার আলহাজ্ব আজাহার উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মোঃ আবুল কালাম হাওলাদার বিষয়টি তার আমলে নিয়ে নিজের আর্থায়ন থেকে প্রায় আনুমানিক এক লক্ষ পঁঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় করে খেয়াঘাটের উভয় পাশে কাঠের দুটি পুল নির্মাণ করেন। যাহাতে যাত্রীদের খেয়ায় উঠানামার জন্য ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পান বলে প্রতিদিনের চলাচলরত যাত্রীরা জানান।

এ ব্যাপারে ইজাদার মোঃ আবুল কালাম হাওলাদার প্রতিবেদককে জানায় বাংলা সন ১৪২৩ থেকে ১৪২৪ সন পর্যন্ত এক বছরের জন্য এই খেয়াঘাটের ইজারা প্রাপ্ত হয়। কিন্তু আমার এই খেয়াঘাট থেকে প্রতিদিন দশ হাজার যাত্রী চলাচল করেন। তাহার মধ্যে স্কুল,কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রী আছেন পাঁচশত থেকে ছয়শত জন।

শিক্ষক,প্রতিবন্ধী,প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা পারাপার করেন পঁঞ্চাশ থেকে ষাট জন সহ মৃত্যু ব্যক্তির সাথে জনগনের কাজ থেকে টোলের আর্থ নেওয়া হয় না। ছাত্রী/ছাত্রীদের সহ সাধারনের চলাচলের জন্য বিশ জন মাঝি আছেন এবং আমি টোলের চাট টানিয়া দিয়াছি যাতে যাত্রীরা হয়রানি শিকার না হয়। এ ব্যাপারে মাঝি রেজাউল পেসকার, জালাল মাল, কামাল মাল, জাকির পেসকার, শফিক মোল্লা ও রবির কাছে জানতে চাইলে তাহারা বলেন এই খেয়া পারাপারের জন্য কোন বাধ্য বাধকতা নেই। ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে কোন টাকা নেওয়া হয় না। রণগোপালদী বাজার ব্যবসায়ী মনু হাওলাদার, আঃ হক ও অরুন দেবনাথ প্রতিবেদককে বলেন এখানে আমরা ভালভাবে মালামাল উঠানামা ও আনানেওয়া করতে পারি। রণগোপালদী ইউপি সদস্য আঃ মান্নান কাজী বলেন যাত্রী পারাপারের সু-ব্যবস্থা হওয়ায় আমার এলাকার জনগন আনন্দিত। রণগোপালদী ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন খেয়া পারাপারের সু-ব্যবস্থা করার জন্য ইজারাদারকে এলাকাবাসী ধন্যবাদ জানান।

উলানিয়া বাজার ইউপি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, রণগোপালদী ও উলানিয়া খেয়াঘাটের চলাচল যাত্রীদের উঠানামার সু-ব্যবস্থা করায় ইজারাদারকে অনেক ধন্যবাদ জানান।

রতনদী তালতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম মস্তফা খান ইজাদার আবুল কালামকে নিজের অর্থায়নে সু-ব্যবস্থা করার জন্য অন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানান।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল বাকী তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি ইজাদার নিজের অর্থায়নে কাঠের পুল নির্মাণ করে দেওয়ায় জন সাধারণের চলাচলের সুন্দার ও সহজ হয় এধরনের উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানান।

দশমিানা উপজেলার নির্বাহী অফিসার মুঃ ইশরাইল হোসেন একই মন্তব্য ব্যক্ত করেন।

(এসডি/এএস/নভেম্বর ২১, ২০১৬)