স্টাফ রিপোর্টার : বিচারক নিয়োগসংক্রান্ত সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ, অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি ও পদোন্নতিসংক্রান্ত সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদসহ কয়েকটি অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের ওপর আদেশ মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিষয়টি মুলতবি রাখেন। আদালত বলেছেন, এটি সাংবিধানিক বিষয়। এটি আমরা আরও দেখব। স্ট্যান্ড ওভার রাখা হলো।

রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনূছ আলী আকন্দ বলেন, আজ আদেশ হওয়ার কথা ছিল। তবে এখানে সংবিধানের অনেক অনুচ্ছেদ চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বিষয়টি জটিল। আদালত বলেছেন, আরও পর্যালোচনা করবেন। আদেশ মুলতবি করা হয়েছে। এখন যেকোনো দিন এটি কার্যতালিকায় আদেশের জন্য আসতে পারে।

এর আগে ওই দুটি অনুচ্ছেদসহ কয়েকটি অনুচ্ছেদের বৈধতা নিয়ে ৩ নভেম্বর রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনূছ আলী আকন্দ। গতকাল সোমবার শুনানি নিয়ে আদালত আজ আদেশের দিন রেখেছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

রিট আবেদনকারীর যুক্তি, ১৯৭২ সালের সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে অধস্তন আদালতের দায়িত্ব ছিল সুপ্রিম কোর্টের ওপর। অথচ ১৯৭৫ সালে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের পরিবর্তে ওই ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া হয়, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ১৯৭৮ সালে ওই সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করা হলেও ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীতে তা বহাল থাকে। ১১৬ অনুচ্ছেদ সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ, ১০৯ অনুচ্ছেদে হাইকোর্ট বিভাগকে অধস্তন আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। ১৯৭৮ সালে সামরিক ফরমানে ১১৬ অনুচ্ছেদে প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে শব্দগুলো যোগ করা হলেও ওই ফরমান সর্বোচ্চ আদালতে অবৈধ ঘোষিত হয়। এরপরও পঞ্চদশ সংশোধনীতে ওই ফরমানসহ চতুর্থ সংশোধনীর রাষ্ট্রপতির সেই ক্ষমতা রেখে দেওয়া হয়েছে। এটি সংবিধানের প্রস্তাবনা ও ওই অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।









(ওএস/এস/নভেম্বর ২২, ২০১৬)