কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনের পূর্ব-দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়াগামি যাত্রী ও দালালের সংঘর্ষের ঘটনায় ৮ দালালকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এদের আটক করা হয়।

এর মধ্যে টেকনাফ থানার পুলিশ ৫ জন এবং উখিয়া থানার পুলিশ ৩ জনকে আটক করে। এর আগে বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহর থেকে আটক করা হয় ২ দালালকে।

এ নিয়ে এ ঘটনায় ১০ দালালকে আটক করা হল। একই সঙ্গে ঘটনার সময় ট্রলার থেকে আটক করা হয় ৩ বিদেশীকে।

উখিয়া থানার ওসি অংসা থোয়াই জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া মানবপাচারে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়।

উখিয়া উপজেলার মরিচ্যা এবং সোনারপাড়া বাজার থেকে এসব দালালদের আটক করা হয়।

আটকরা হল, উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামের মৃত জাফর আলমের ছেলে মাহবুবুল আলম (চকিদার), সোনারপাড়া এলাকার মৃত আলী হোছনের ছেলে শামশুল আলম ও মরিচ্যা এলাকার আলী চাঁনের ছেলে জালাল উদ্দিন।

অপরদিকে টেকনাফের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয় আরো ৫ জনকে।

টেকনাফ থানার ওসি মোকতার হোসেন জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া মালয়েশিয়াগামিদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এদের আটক করা হয়। তিনি এ ৫ জনের নাম জানাতে পারেননি।

এর আগে সংঘর্ষে নিহত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনের মৃতদেহ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত এসব মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ জানিয়েছেন, যশোরের ২ জন, বগুড়ার একজন এবং সিরাজগঞ্জ জেলার একজনের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে বুঝে দেয়া হয়। অপর জনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। পরিচয় শনাক্ত করা না গেলে তাকে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।

অপরদিকে এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া লোকজন টেকনাফ কলেজ ক্যাম্পাসে রাখা হয়েছে। ওখান থেকে অভিভাবকদের বুঝে দেয়া হচ্ছে। এতে আহত ৩১ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে।

টেকনাফ থানার ওসি মোকতার হোসেন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মানবপাচার, হত্যা এবং অবৈধ অনুপ্রেবশের দায়ে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে মানবপাচার মামলায় ৮৯ জন, হত্যা মামলায় আটক ৩ বিদেশী এবং ২০ জন অজ্ঞাত, অনুপ্রেবশ মামলায় ৩ বিদেশীকে আসামী করা হয়েছে। আসামীদের ধরতে অভিযান চলছে।

এর আগে কক্সবাজার শহর থেকে আটক করা হয় ২ দালালকে। এ ২ জন সহ ১০ দালালকে টেকনাফ থানায় দায়ের করা মানবপাচার মামলার আসামী হিসেবে আদালতে প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে টেকনাফ থানার ওসি জানিয়েছেন।

(টিটি/এটিআর/জুন ১৪, ২০১৪)