দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের শিবগঞ্জ বাজার থেকে সোহাগীপুর (বিল কাকরাকান্দা) পর্যন্ত ৯ কিঃমিঃ রাস্তার মাঝে কাটুয়াকুড়ি বিলে ১২০ ফুট দৈঘ্য ‘বঙ্গবন্ধু সেতু’ ও কালিয়াপুটি বিলে ৮৫ ফুট দৈঘ্য ‘শেখ হাসিনা সেতু’র নির্মান কাজ কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বর্তমান ইউ,পি সদস্য মোঃ হাবিবুর রহমান এর ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মানাধীন সেতু দুটোর কাজ শেষ। এ কাজ শুরুর সময় সেপ্টেম্বর ২০১৪ এর শেষের দিকে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন হাবিবের পিতা কৃষক মরহুম আব্দুল করিম।
  

এলাকাবাসী প্রতিনিধিকে জানায়, বিগত ৪৪ বছরে আমাদের বিল এলাকায় কোন জনপ্রতিনিধি উন্নয়ন কাজ করেনি। কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বর্তমান মেম্বার নিজের জমিজমা বিক্রি করে বিল এলাকার ১০ হাজার মানুষের সুবিধার্থে বঙ্গবন্ধু সেতু ও শেখ হাসিনা সেতু নির্মান কাজ সমাপ্ত করেন।

ইউ,পি সদস্য হাবিবুর রহমান আবেগে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, সেতু দুটোর কাজ আমর জীবনের সমস্ত আয় দিয়ে এবং পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে দিন রাত খেটে আমি বঙ্গবন্ধু পাগল একজন মানুষ জাতির জনকের স্বপ্ন সোনার বাংলায় মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা ভেবে আমি এ কাজে নেমেছি। এ সেতুগুলো সম্পন্ন হওয়ায় ৬টি গ্রামের ১০ হাজার মানুষ সুবিধা ভোগ করবে। তাদের উৎপাদিত ফসল, শাক সবজি যথাসময়ে বাজারে বিক্রি করতে পারবে ,জীবন যাত্রা সচল হবে,শিশুরা পড়াশুনার জন্য সহজেই স্কুলে যাতায়াত করতে পারবে, অসুস্থ মানুষ সহজেই ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হতে পারবে,বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের সেবা বাড়বে, মানুষ আমাকে দোয়া করবে।

শনিবার সেতু দুটো পরিদর্শনে স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে এ ব্রীজ এবং রাস্তার উপকারভোগীদের মাঝে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ, মাওলানা মো. হাবিবুর রহমান, মো. উসমান গনি, রফিজ বেগ, মুখলেছুর রহমান, জিয়াউর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মোঃ দুলাল মিয়া, আবদুর রশিদ, আবু হানিফা, মিজানুর রহমান সহ আরো অনেক গ্রামবাসী সাংবাদিকদের বলেন স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও এমন উদ্যোগ কেহ নেয় নি, সরকারি ভাবেও বিল এলাকা বলে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নি, এ এলাকার জনগন একমাত্র যোগযোগের কারনে অনেক পিছিয়ে আছে। যা বাস্তবে না গেলে বোঝার কোন উপায় নেই। স্থানীয়রা বলেন, এ রকম হাবিবুর বাংলার প্রতিটি গ্রামে সৃষ্টি হউক, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সত্যিকারের সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হউক। হাবিবুরের প্রত্যাশা বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার এই অবহেলিত বিল এলাকার প্রতি দৃষ্টি দিবেন এবং সেতু দুটোতে ছবি লাগানোর অনুমতি দিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

(এনএস/এএস/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬)