নেত্রকোনায় সবুজ জ্বালানি ও জলবায়ু যুব উৎসব
দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতনিধি :নেত্রকোনায় সম্মিলিত যুব সমাজ, প্রথম আলো বন্ধুসভা , সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের আয়োজনে বুধবার স্থানীয় শহীদ মিনার চত্ত্বরে দিনব্যাপী নবায়নযোগ্য জ্বালানী, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, মানবসৃষ্ট দূর্যোগ ও সামাজিক অস্থিরতা রক্ষায় সবুজ জ্বালানি ও জলবায়ু যুব উৎসব ২০১৬ অনুষ্ঠিত হয়।
‘‘নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করি, পরিবেশ ও জীবন ভাল রাখি’’ এই প্রতিপাদ্যে শিক্ষা, সংস্কৃতি বৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি জনাব হালিম খান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উৎসব উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আজিজ হায়দার ভুইয়া ।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও লেখক অধ্যাপক যতীন সরকার, উপ-পরিচালক যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর মিজানুর রহমান, লোক সংস্কৃতি গবেষক গোলাম এরশাদুর রহমান, অধ্যক্ষ আনোয়ার হাসান, অধ্যাপক তপন সাহা, প্রথম আলোবন্ধু সভা সাধারণ সম্পাদক শিশিরি হাসান, প্রধান শিক্ষক আজহারুল হক তুহিন, আল-আমিন শেখ, তপতি শর্ম্মা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ৩৮ ভাগ মানুষ এখনো বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করতে পারছেনা। দেশের বিদ্যুৎ জ্বীবাশ্ব জালানি নির্ভর। বাড়ছে জনসংখ্যা, সেই সাথে বাড়ছে খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার উপর চাপ। শিল্পকারখানা, যানবাহনে প্রয়োজন হচ্ছে বাড়তি বিদ্যুতের। বর্তমানে জ¦ীবাশ্ব জা¦ালানি থেকে বিদ্যুৎ চাহিদা পূরন হচ্ছে ৯৯.৯৫ ভাগ। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে চাহিদা পুরন হচ্ছে .০৫ ভাগ।
অধ্যাপক যতীন সরকার বলেন, বাংলাদেশে গ্যাসের মজুদ কমে যাচ্ছে। বর্তমানে ১৪.১৬ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ আছে। প্রতিদিন প্রায় ২হাজার ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে। বর্তমান যে গ্যাস মজুদ রয়েছে তা দিয়ে মাত্র ১৬ বছর চলবে। নতুন কোন গ্যাস ক্ষেত্র আবিস্কৃত না হলে আমাদেরকে নবায়নযোগ্য শক্তির উপর নির্ভরশীল হতে হবে। উত্তোলিত গ্যাসের ৫৮ ভাগ বিদ্যূৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। ১২ ভাগ গ্যাস গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহৃত হয়। কাজেই দেশ রক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে অগ্রসর হতে পারলেই আজকের যুব উৎসবের সফলতা আসবে। যুবকদের নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে জনসচতেনতা, প্রয়োজন ছাড়া ঘরের লাইট, ফ্যান ও কম্পিউটার বন্ধ রাখা, সৌরশক্তি ব্যাবহারে সরকারী বে-সরকারী উদ্দ্যেগ গ্রহনসহ বৃক্ষরোপনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কৃষি, বৃক্ষরোপন ও সবুজ বনায়নের জন্য ৭জনকে সম্মাননা প্রদান স্মারক প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য উৎসবে জ্বালানি বিহীন কৃষি উপকরন, ধোঁয়া বিহীন চুলা, বায়োগ্যাস, ঔষধী গাছ ও চুঙ্গা পদ্ধতিতে পানি সরবরাহ বিষয়ক বিভিন্ন ষ্টল স্থান পায়। পরিশেষে বারসিক এর সাংস্কৃতিক দল নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বৃক্ষরোপন বিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
(এনএস/এস/ডিসেম্বর ২১, ২০১৬)