নাটোর প্রতিনিধি : ৯ জুন অনুষ্ঠিত নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মারপিট করে বিএনপি সমর্থীত প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার অভিযোগে নাটোরের জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

রবিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম ফিরোজের ছোট ভাই ফকরুদ্দিন ফুটু বাদী হয়ে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় নাটোরের জেলা প্রশাসক জাফর উল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন ও সহকারি রিটার্নীং কর্মকর্তা ও নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন আক্তার জাহানকে আসামী করা হয়েছে। আদালতের বিচারক লিয়াকত আলী মোল্লা বাদীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে পরে আদেশের জন্য রেখেছেন। ওই আদালতের এপিপি সামশুল হক ভুঁইয়া মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাদী তাঁর এজাহারে অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্তরা সেনাবাহীনিকে ব্যবহার করে নির্বাচনের দিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির সাখাওয়াত হোসেনের সাথে গোপন ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্বিচারে মারপিট করেছে। এমনকি প্রার্থীর ভাই অর্থাৎ এই মামলার বাদীকে নিজ বাড়ি থেকে সেনাবাহিনীর গাড়ীতে একটি নির্জন পুকুর পাড়ে তুলে নিয়ে গিয়ে বেদম মারপিট করে হাত ভেঙ্গে দেয়। পরে তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। তাদের নির্দেশেই সেনাবাহিনী আওয়ামীলীগ কর্মী সমর্থকদের মারপিট করে জখম করে এবং প্রতিটি কেন্দ্রে এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্র ছাড়তে বাধ্য করা হয়। অভিযুক্তদের এসব কর্মকান্ডের কারনেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
নাটোরের জেলা প্রশাসক জাফর উল্লাহ জানান, নির্বাচনের দিন সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা তার কাজ নয়। অভিযোগটি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক।

(এমআর/অ/জুন ১৫, ২০১৪)