সোনাগাজীতে ভুয়া দলিলের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার জমি জবর দখলের অভিযোগ
ফেনী প্রতিনিধি : সোনাগাজী উপজেলার পূর্ব মির্জাপুর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট (অব:) আবুল কালাম আজাদ ও তার স্ত্রী হাজেরা মুক্তার খরিদা ও পৈত্রিক মালীকি ২৬ শতক প্রভাবশালী ভূমিদস্যু মঙ্গলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান বাদল ও জামায়াত নেতা খুরশিদ গং জবর দখল করে নেয়।
মুক্তিযোদ্ধা কালাম জানায়, ২৬/১১/২০১৪ ইং তারিখের ৭২৫১নং দলিলে মোশারফ হোসেন বাদল ১২ শতক মালিক হয়ে ১৪/১০/২০১৫ইং তারিখে ৫৩৯৪ নং দলিলে ভুমি দস্যু খুরশিদ গংদের কাছে বিক্রি করে। তবে সংশ্লিষ্ট কোন ভুমি অফিসে বাদলের নামে বিরোধীয় জমিতে কোন রেকর্ড ,খতিয়ান, কিংবা জমাখারিজ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সন্ত্রাসী কায়দায় জমি জবর দখল নেয় আ’লীগ নেতা ও মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদল। ফেনী জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর সহযোগী হওয়ায় স্থানীয় আ’লীগের নেতারাও তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ । ওই ভুয়া দলিল বাতিল করে স্বত্ত্ব ঘোষনামুলক রায়-ডিক্রি পেতে হাজেরা মুক্তা বাদী হয়ে আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করেন। আ’লীগ নেতা হয়ে জামায়াত নেতা খুরশিদকে সহযোগীতা দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার জমিতে ২দুই ভুয়া দলিলের মাধ্যমে ক্রয় - বিক্রয় করে দখল করায় ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ নাছির উদ্দিন জানান, বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় । অথচ আ’লীগ নেতার সহযোগিতায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা নিজের সম্পত্তি হারিয়ে অসহায় আর্তনাদ করে বেড়াচ্ছে। ক্ষমতার অপব্যাবহারের কারণে কোথাও সুবিচার পাচ্ছেনা মুক্তিযোদ্ধা কালাম।
মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শেখ ফরিদ দরদী জানান , মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় জমি প্রতারনা ও জোরপুর্বক খুরশিদ গংকে জবর দখলে সহযোগীতা করেছে বাদল চেয়ারম্যান। অন্যথায় আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে জামায়াত নেতা কিভাবে মুক্তিযোদ্ধার ভূমি দখলের দুঃসাহস পেলো?
সোনাগাজী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিদর্শী সম্ভৌধি চাকমা জানান, জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করা গেলেও রেকর্ড, খতিয়ান ও জমা খারিজ করা সম্ভব হয়না।
(এসআইএম/এএস/জানুয়ারি ০৭, ২০১৭)