গাইবান্ধা প্রতিনিধি :গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম এলাকায় সাঁওতালদের হত্যা, বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে রংপুর মহানগরীতে লাঠি ও তীর ধনুক নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সাঁওতালরা।

এসময় গোবিন্দগঞ্জের ইউএনও ও ওসির অপসারণ দাবি করা হয়। তীর ধনুক ও লাঠি প্রদর্শনীতে নগরীতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

রবিবার দুপুর নগরীর চত্তর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে কাচারী বাজারে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।তীর ধনুক নিয়ে মিছিল সমাবেশ করার কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, এখনো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তাই তীর ধনুক সঙ্গে এনেছেন।

তবে, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন জানান, এতে আতঙ্কিত হবার কিছুই নেই। এটি তাদের ঐহিত্য।

এদিকে, সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়, দাবি আদায়ে তারা আগামী ৬ মার্চ উত্তরাঞ্চেলের প্রতিটি শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি করবেন।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেনের সভাপতিত্বে সমাবশে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা সিপিবি সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, রংপুর জেলা উদিচী সাধারণ সম্পাদক কাফি সরকার, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ রাজশাহী বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক সবিন চন্দ্র মুন্না, রংপুর জেলা সভাপতি মনিলাল দাস, দিনাজপুর সভাপতি শিতল মারাডি, পীরগঞ্জ সভাপতি রোঞ্জিনা সরেন, বাগমারা জমি উদ্ধার পরিষদের নেতা তিলিমন বাস্কে, আদিবাসী যুব পরিষদ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নরেন পাহান, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় সভাপতি বিভূতি ভূষন মাহাতো, আদিবাসী গবেষণা পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, নওগাঁ জেলা বাসদ সমন্বয়ক জয়নাল আবেদিন মুকুল, রংপুর মহানগর বাসদের সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায়, রংপুর জেলা বাসদের সমন্বয়ক আব্দুল কুদ্দুস, মানবাধিকার কর্মী সারা মারান্ডী, অনিক আসাদ প্রমুখ।

এসময় বক্তরা বলেন, সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম এলাকার সাঁওতালদের হত্যা, বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনার দুই মাস পেরিয়ে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

তারা হামলার ঘটনায় নিহত, আহত, ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপুরণ, মামলা প্রত্যাহার, হামলাকারীদের শাস্তি এবং পক্ষপাতের অভিযোগে গোবিন্দগঞ্জের ইউএনও ও ওসির প্রত্যাহারের দাবি জানান।








(ওএস/এস/জানুয়ারি ১৫, ২০১৭)