মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরার শালিখা উপজেলার বৈখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেঘনাদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ওই বিদ্যালয়ের আয়াকে  যৌন হয়রানীর অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

আয়া আলেয়া জানায় – গত ১৬ সালের প্রথম দিকে তাকে স্কুলে নিয়োগ দেওয়া হয় বেসরকারি ভাবে। নিয়োগের পর থেকেই তাকে বিভিন্ন সময়ে কু- প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো প্রধান শিক্ষক মেঘনাদ বিশ্বাস। মঙ্গলবার হলরুমে একা পেয়ে শ্লীলতা হানীর চেষ্টা করলে আমি চিৎকার করি। এ সময় লোকজন ছুটে এলে আমি রক্ষা পায়।

সরজমিনে বিদ্যালয়ে গেলে- গ্রামবাসী ,ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মহলের সাথে কথা বলে জানা যায়– হয়রানির শিকার বিদ্যালয়ের ওই আয়া বেসরকারি ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। প্রধান শিক্ষক নিজে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায়ই তাকে কু-প্রস্তাব দিতেন। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় গত ১৭ মঙ্গলবার আয়াকে হলরুমে একা পেয়ে যৌনহয়রানির চেষ্টা করেন। আয়া চিকৎকার দিয়ে বাহিরে গ্রামের লোকজনদের জানালে তার মা ছুটে এসে প্রধান শিক্ষকে জুতা দিয়ে মারতে শুরু করেন। শুধু তাই নয় ইতি পূর্বে স্কুলের ৪র্থ ও ৫ম শ্রেনীর দুজন ছাত্রীকেও যৌন হয়রানির চেষ্টা করেছেন ওই প্রধান শিক্ষক।

বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় স্কুলে কোন ছাত্র-ছাত্রী আসে নাই। ৫ জন শিক্ষকের মাত্র ২জন উপস্থিত। খোঁজ নিয়ে জানাযায় প্রধান শিক্ষকের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস বর্জন রাখবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫ম শ্রেনীর এক ছাত্রী জানায় ২মাস পূর্বে তাকে আদর করার নামে তার শ্লীলতা হানির চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষক মেঘনাদ বিশ্বাস।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বললে তিনি জানান এ সব ষড়যন্ত্র।
বিদ্যালয়ের সভাপতি রাজু বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জানান- অরুন চন্দ্র ঢালী জানান - আমি সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করেছি। অভিযুক্ত শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সাথে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

(ডিসি/এএস/জানুয়ারি ১৮, ২০১৭)