দুর্গাপুর (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণার সুসঙ্গ দুর্গাপুরে স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক টঙ্ক আন্দোলনের তীর্থস্থান হিসাবে খ্যাত কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেরাতলী গ্রাম। ১৯৪৬ সালের ৩১ জানুয়ারি একজন মহিয়সী নারী হাজংমাতা রাশিমণি শহীদ হয়েছেন।

ভারত উপমাদেশে একজন নারী আরেকজন নারীর সম্ভ্রম রক্ষা করার জন্য যে আত্মত্যাগ তা চিরস্মরনীয়। ৭১ বছর পূর্বে এরকম একটি ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়, ‘জান দেবতো মান দিব না’ অর্থাৎ কমিটমেন্ট। যাকে নিয়ে এই আত্মত্যাগের ঘটনা সে হচ্ছে মহিয়সী নারী রাশিমণির হাজং এর সহযোদ্ধা কুমুদিনী হাজং। সে আজ অসতিপর বৃদ্ধা। এখনও নিজে নিজে চলতে পারছেন। সেই দিন শহীদ হয়েছিলেন কমিউনিষ্ট নেতা সুরেন্দ্র হাজংও।

২০০১ সালে বিপুল হাজং, মতিলাল হাজং, স্বপন হাজং গংরা হাজং মাতা মেমোরিয়াল ট্রাস্ট্রের চেয়ারপারসন নারী নেত্রী খুশী কবিরের নেতৃত্বে এই বহেরাতলী গ্রামে শাহাবুদ্দিন তোতা মিয়া‘র দানকৃত জমিতে একটি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের জন্য ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন। এই স্মৃতি স্তম্ভকে ঘিরে হাটি হাটি পা পা করে জমে উঠেছে মেলা। এটা একটা আদর্শের মেলা। এই মেলাটি প্রতি বছর ৩১ জানুয়ারি থেকে সপ্তাহব্যাপি চলে । আসেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চল সহ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে কবি, সাহিত্যিক, লেখক সহ সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিবর্গ। প্রজন্মকে জানান দেয় এই মেলা, শক্তি সঞ্চারিত হয় যুব সমাজ সহ মানুষের মাঝে। জয়তু রাশিমণি।

(এনএস/এএস/জানুয়ারি ৩০, ২০১৭)