মাগুরা  প্রতিনিধি :মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চাকদহ গ্রামে সীমা বিশ্বাস (২৩) নামে এক গৃহবধূকে তার পাষন্ড স্বামী নির্যাতনের পরে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। সীমা শ্রীপুর উপজেলার আমলসার ইউনিয়নের কোদলা  গ্রামের অখিল বিশ্বাসের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে সীমার স্বামী সুব্রত পলাতক রয়েছে।

শ্রীপুর উপজেলার কোদলা গ্রামের বাসিন্দা সীমার ভাই অশোক বিশ্বাস অভিযোগ করেন, প্রায় ৪ বছর আগে একই উপজেলার গয়েসপুর ইউনিয়নের চাকদহ গ্রামের নকুল বিশ্বাসের ছেলে সুব্রত বিশ্বাসের সাথে তার বোন সীমা বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে সুব্রত বিদেশে যাওয়ার জন্য সীমা বিশ্বাসের বাবার কাছে টাকা দাবি করে আসছে। জমি বিক্রি করে সুব্রতকে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রায়ই বিভিন্ন কাজের কথা বলে সে শ্বশুড় বাড়ি থেকে টাকা-পয়সা আনার জন্য সীমাকে নির্যাতন করত।

কিছুদিন পূর্বে একটি মোবাইল কেনার জন্য সীমাকে মারধর করলে সীমার বাবার বাড়ি থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল ফোন সেট কিনে দেয়। সর্বশেষ গত ২/৩ দিন পূর্বে আবারো বাবার বাড়ি থেকে টাকা অনার জন্য চাপ দিলে সীমার সাথে সুব্রতর ঝগড়া-বিবাদ হয়। এ নিয়ে গতকাল শনিবার রাতে সুব্রত সীমাকে বেদম মারধর করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে সীমার মৃত্যু হয়। পরে গলায় গামছা পেচিয়ে মৃতদেহ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে এটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্ঠা করা হয়।

শ্রীপুর থানার ওসি রেজাউল ইসলাম জানান, পুলিশ রোবার দুপুরে সীমার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। নির্যাতন করে সীমাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারনা করা হচ্ছে। মৃতদেহর শরীরে আঘাত ও জখমের চিহ্ন রযেছে। আঘাতের কারণে তার কান দিয়ে অনেক রক্ত বের হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী সুব্রত পলাতক রয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমার শ্বাশুড়ি সবিতা বিশ্বাস এবং শ্বশুড় অখিল বিশ্বাস আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সীমার ভাই শ্রীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করছেন ।


(ওএস/এস/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭)