মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : বর্তমান সরকার সারাদেশে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সেবা এবং গ্রাহক চাহিদার এক দিনের মধ্যেই সংযোগ সার্ভিস দিতে বদ্ধপরিকর থাকলেও মদনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পৌরসদরে বিদ্যুৎ পাচ্ছে মাত্র ৮ ঘন্টা। তবে পল্লী এলাকার অবস্থা আরো নাজুক। বিদ্যুতের সাহায্যে বোরো ধান আবাদ করে কৃষক পড়েছে বিপাকে।

পানির অভাবে জমি ফেটে চৌচির হয়ে ধান গাছ হলুদ বর্ণ ধারন করছে। উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পৌরসদরসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের চলতি বোরো মৌসূমে বিদ্যুতের সাহায্যে ১হাজার ৭শ ৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার কৃষকের বোরো আবাদের জন্য রাত ১১ টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ সরবারাহ করার ঘোষনা দেয়। কিন্তু বাস্তবে ২/৩ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকছেনা। এই ভয়াবহ লোডশেডিং এর কবলে পড়ে কৃষি ক্ষেত্রে যেমন অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে তেমনি ভাবে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, ফ্রিজে রাখা বিভিন্ন মালামাল নষ্ট ও বিভিন্ন কাজকর্মে লোকজন হতাশা ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে ।

২০১৭ সালের মধ্যে মদনে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহন করেছে সরকার। বিদ্যুতের এ হেন পরিস্থিতিতে বর্তমানে বিদ্যুৎ গ্রাহকগণ বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা খোঁজছে। একশ ভাগ বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু হলে কি পরিস্থিতি দাড়াবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা গ্রস্ত হয়ে পড়ছে গ্রাহকগণ।

এ ব্যাপারে বাড়রী মৌজার কৃষক আব্দুল সাত্তার, মানুবাবু, খুরশেদ উদ্দিন জানান, বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং এর কবলে পড়ে আমাদের রোপনকৃত জমি ফেটে ধানের গাছ হলুদ বর্ণের হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থার উন্নতি না ঘটলে এলাকার কৃষকরা না খেয়ে থাকতে হবে।

এ ব্যাপারে ডিজিএম মোঃ মাহবুব আলী জানান, এ এলাকায় প্রতিদিন ৮মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২/৩ মেগাওয়াট। যার কারণে বিদ্যুতের এই লোডশেডিং। ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাসের চাপ কম থাকায় বিদ্যুৎ উত্তোলন কম হচ্ছে। এর উন্নতি হলে লোডশেডিং কমে আসবে।

(এএমএ/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭)