নাটোর প্রতিনিধি : নাটোর থেকে অপহৃত সাজেদুল ইসলাম টুটুল নামে এক যুবককে বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণকারীরা ওই যুবককে চাকরী দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে বুধবার রাতে বগুড়ার সাতমাথা এলাকায় অভিযান চালিয়ে টুটুলকে উদ্ধার করে। তবে পুলিশি অপহরণকারীচক্রের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ জানায়, নাটোরের নলডাঙ্গার রামশার কাজীপুর গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে সাজেদুল ইসলাম টুটুলকে চাকরী দেওয়ার নাম করে আলম নামে জনৈক এক ব্যক্তি গত ১৭ জুন মোবাইলে বগুড়ায় ডেকে নিয়ে জিম্মি করে। পরে তারা টুটুলের পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি নলডাঙ্গা থানাকে জানালে অভিযানে নামে পুলিশ। মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে নলডাঙ্গা থানার পুলিশ বুধবার রাতে বগুড়ার সাতমাথা এলাকায় অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা টুটুলকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ টুটুলকে উদ্ধার করে রাতেই নাটোরে আসে।

টুটুলের বাবা জাবেদ আলী জানান, তার ছেলে সাজেদুল ইসলাম টুটুল প্রায় এক সপ্তাহ আগে বাসে ফরিদপুর থেকে নাটোর আসার পথে বগুড়ার জনৈক আলমের সঙ্গে পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ওই ব্যক্তি (আলম) ছেলের সঙ্গে তার ( ০১৯৪৯-৭৮৮৭৯৬ ও ০১৭৮৯-৭২১৭৯১) মোবাইলে প্রায় কথা বলতো।

গত ১৭ জুন সকালে ওই ব্যক্তি চাকরীর কথা বলে মোবাইলে তার ছেলেকে বগুড়ায় ডেকে নেয়। ওই দিনই বিকেলে অন্য একটি মোবাইল (০১৭৭৩৫-১৪৭৯৫৯) ফোনে ছেলেকে অপহরণের কথা জানিয়ে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। অন্যথায় ছেলেকে হত্যার হুমকি দেয় তারা। বিষয়টি নলডাঙ্গা থানায় লিখিতভাবে জানানোর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে বগুড়া থেকে তার ছেলেকে উদ্ধার করে।

নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে সাজেদুল ইসলাম টুটুলকে বগুড়া থেকে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে পরিবারের জিম্মিায় দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

(এমআর/এটিআর/জুন ১৯, ২০১৪)