মোস্তাফিজ নোমান, ত্রিশাল : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনকে সামনে রেখে নবীণ-প্রবীণদের মিলন মেলায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসতে শুরু করেছেন বিশ্বাবদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

রাত পোহালেই বহুল অপেক্ষার অবসান ঘটে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি শুভ উদ্বোধন এবং সভাপতিত্ব করতে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।

২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর প্রথম বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে এই মিলন মেলার। আর এই উৎসব মুখর দিনটিকে উপেক্ষাকরে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছেন বিশ্বাবদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। ২৫একর জমিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় সেজেছে দৃষ্টি নন্দন সাজে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে অংশগ্রহন করতে নবীণ-প্রবীণরা আসতে শুরু করেছে। এ আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সেরা প্রাপ্তি হয়ে থাকবে এবং প্রথম সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছেন শিক্ষার্থীরা। ইতিমধ্যেই নবীণ-প্রবীণদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সেই চিরচেনা ক্যাম্পাসে কেউবা এসেছেন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে,কেউবা স্বামী, সন্তান, স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন নিজের কাটিয়ে যাওয়া ক্যাম্পাসে। সবমিলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস মুখরিত নবীন প্রবীনের এক অন্যরকম মিলনমেলা। নবীনরা বরন করে নিচ্ছে তাদের সিনিয়র শিক্ষার্থীদের। কেউবা নিজেদের আবাসন ছেড়ে দিয়ে জায়গা করে দিচ্ছেন ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়া সিনিয়র শিক্ষার্থীদের।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাওহীদুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে অংশগ্রহন করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আজ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সেরা প্রাপ্তি পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই ভিসি স্যার সহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে আমাদেরকে এ সমাবর্তন উপহার দেয়া জন্য। সমাবর্তনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ও তার আশ পাশের এলাকায় উৎসবের আমেজ।

বিশ্বদ্যিালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও নিউজ টুয়েন্টিফোরের সিনিয়র রির্পোটার শেখ জায়েদ বলেন বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে কর্মজীবনে যাওয়ার পর সমাবর্তনে অংশগ্রহন একজন শিক্ষার্থীর সেরা প্রাপ্তি।

বিশ্বদ্যিালয়ের ৫ম ব্যাচের ছাত্রী নুশরাত শিমু বলেন আমরা প্রবীনদের বরন করে নিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি তাদেরকে কাছে পেয়ে আমরা মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়েছি। এই সমাবর্তন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে স্বাক্ষী হয়ে থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আপেল মাহমুদ বলেন সমাবর্তনে আসা শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়েছি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যাতে কোন সমস্যা পোহাতে না হয় সে জন্য ছাত্রলীগের সর্বস্তরের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. মোহীত উল আলম বলেন শিক্ষা জীবনের সেরা উপহার গ্রহন করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রিয় ক্যাম্পাসে ছুটে এসেছে।

(এমএন/এএস/এপ্রিল ১৮, ২০১৭)