সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রাইভেট মাস্টার মোঃ আলম মিয়া (৪০) এর বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কাজিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার বর্তমান বিলচতল গ্রামে। মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। বিদ্যালয় ছুটির পর উক্ত ছাত্রী স্থানীয় ব্রাইট কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মোঃ আলম মিয়ার কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। তার কাছে আরো কয়েকজন ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে।

এমতাবস্থায় আলম মাস্টারের কুনজর পড়ে উক্ত ছাত্রীর উপর। জানা যায়, প্রাইভেট পড়া অবস্থায় বিদ্যুৎ চলে গেলে আলম মাস্টার ওই ছাত্রীকে কৌশলে রেখে বাকি ছাত্রীদের ছুটি দেয়। গত ১০/০৪/২০১৭ইং তারিখে সন্ধা অনুমান ৭ টা ১০ মিনিটে আলম মাস্টার অংক করনোর কথা বলে তাকে তার বসত ঘরের বিছানায় নিয়ে বসায়। বাড়িতে তার স্ত্রী না থাকায় ফাকা পেয়ে কুচক্রী আলম মাস্টার তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।

এ ঘটনায় গত ১২ই এপ্রিল ওই ছাত্রীর মা কাজিপুর থানায় বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী এর ৯(৪)(খ) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনার পর থেকে নারী লোভী আলম মাস্টার গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে মামলা দায়েরের পর আলম মাস্টারের লোকজন নাজিম উদ্দিনসহ মামলার বাদীকে বিভিন্ন প্রকার প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। তাদের হুমকিতে বাদীর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

অপরদিকে বাদীকে ফাঁসানোর জন্য আসামী আলম মাস্টারের লোকজন বিভিন্ন অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন একটি স্বার্থান্বেষী মহল স্থানীয় কোচিং সেন্টারের নামে ভুয়া ব্যবসা করছে। এই কোচিং সেন্টারের শিক্ষক আলম মাস্টার প্রাইভেট পড়ানোর নাম করে মেধাবী ছাত্রীদের লোভ ও প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন প্রেম, ভালবাসার গল্পে মশগুল রাখত। এতে প্রাইভেট পড়ুয়া ছাত্রীরা তার কাছে পড়তে অনাগ্রাহ প্রকার করেছে।

তিনি আরো বলেন একজন শিক্ষক প্রাইভেট পড়ানোর নাম করে কিভাবে ছাত্রীকে ধর্ষণ করতে উদ্ধত হয় এ ঘটনা সচেতন মানুষের কাছে বোধগম্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত শিক্ষকদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া উচিত। বাদীকে হয়রানি করার জন্য আসামীর পক্ষের লোকজন বিভিন্ন সুযোগ খুঁজছে। এ ঘটনা সম্পর্কে আমরা এলাকাবাসী সচেতন রয়েছি।

(এমএস/এএস/এপ্রিল ১৯, ২০১৭)