ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : পেটের জন্য পাখি ধরি । পাখি ধরা ছেড়ে দিলে খাবো কি?এই বলে কেঁদে ফেলেন বশির। এ অপরাধের জন্য তিনি নিজের শাস্তি ও দাবি করেন ৭২ বছর বয়সি এই বৃদ্ধ। মুখের বলি রেখার স্পষ্ট ছাপ বলে দেয় বশির এখন বৃদ্ধ।চাল-চুলো নেই” নেই ভিটে মাটি। এলাকায় নাম পড়েছে তার যাযাবর।

দশ বছর আগে স্ত্রীকে হারিয়ে তিনি এখন ভবঘুরে জীবন কাটাচ্ছেন। সারাদিন ঘুরে রাত যাপন করেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউপির সারালি ও পূর্ব পারপুগী গ্রামে। সকাল হলেই ছোটেন পাখি শিকারে। পাখি বিক্রি করে যা জোটে তা দিয়ে চলে নিজের ভরণ-পোষণ।

ঐ ইউপির ওয়ার্ড সদস্য সাদেকুল ইসলাম জানান,পাখি শিকার বশিরের একমাত্র পেশা। সে অন্য কাজ পারেনা। গ্রাম বাসির সূত্রে জানা যায়,৯-১০ বছর ধরে বশির পাখি শিকার করছে। তা বিক্রি করে পেট চালায় সে।

১৯৬৫ সালে আত্মীয় স্বজন ও মায়ের সঙ্গে ভারতের আসাম প্রদেশের তেজপুর জেলার চঠিয়া থানার বড়ভেটি গ্রাম থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে আসেন বশির। তখন বয়স তার ১৭-১৮ বছর। ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে মেঝো তিনি। ১ বোন ও তার ২ ছেলে-২মেয়ে থাকলেও এখন কেউ নেই তার সঙ্গে।

বশিরের দূঃখ তার বয়স হলেও এখনও জোটেনি বয়স্ক ভাতা। তার অভিযোগ ঘুষ দিতে পারেনা বলে তার বয়স্ক ভাতা হয়নি। পাখি শিকার অন্যায় এটা তিনি মানেন। তবে একটা উপায় হলে পাখি শিকার ছেড়ে দেবেন।

(এফআইআর/এসপি/এপ্রিল ২৪, ২০১৭)