সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ কারাগারের আসামির ধারণক্ষমতা ২০০।কিন্তু বর্তমানে কারাগারে আসামী রয়েছে প্রায়  ১১০০ জন। এতে আসামীদের দুভোর্গের শেষ নাই । আসামীদের অল্প জায়গায় খুব কষ্ট করে থাকতে হচ্ছে । এত আসামি থাকার জায়গা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। যে কারণে কারাগারের পরিধি বৃদ্ধির জন্য সীমানা প্রাচীরের  দু’পাশে ৪ একর জায়গা ক্রয় এবং সেখানে নতুন স্থাপনা নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ।

সিরাজগঞ্জ কারাগারের সুপার আল মামুন জানান, ২০০ আসামির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সিরাজগঞ্জ কারাগারের বর্তমানে প্রায় ১১০০ আসামি রয়েছে। এদের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ৭০, অন্যান্য সাজার ২৭০, ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত ১৭০, মাদক মামলায় বিচারধীন আসামি ৫০০, পুরুষ জেএমবির সংখ্যা ২৬ জন এবং ৮ নারী জেএমবিসহ মোট নারীর ৩৬ জন। এ সকল আসামির আবাসন, খাবার তৈরি, গোসলখানা, মেডিকেল বিল্ডিংসহ সব কিছুই কারা অভ্যন্তরে।

আসামিদের থাকার স্থান সঙ্কুলন না হওয়ায় ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ইতিমধ্যেই একটি দ্বিতল ভবন ঊর্ধ্বমুখী তয় তলার নির্মাণ কাজ চলছে। মাস খানেকের মধ্যে এটির নির্মাণ শেষ হলে সেখানে ২০০ আসামির থাকার জায়গা হবে। আরও ২টি এক তলা ভবন ৩য় তলায় সম্প্রসারণের জন্য ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রাক্কলন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

কারাগারের সুপার আরো বলেন, কারাগারের বর্তমান সীমানা প্রাচীরের পশ্চিম (পেছন) ও দক্ষিণাংশে কারাগারের পরিধি বৃদ্ধির জন্য ৪ একর জায়গা অধিগ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবনাটি পাস হলে সেখানে নতুন ভবন, ব্যারাক, বন্দি ভবন, স্টাফ কোয়ার্টার এবং মহিলাদের জন্য ভবন নির্মাণ করা হবে। আবাসন স্বল্পতার পাশাপাশি লোকবল সংকটও রয়েছে এই কারাগারে। এই প্রসঙ্গে কারাগারের সুপার আল মামুন বলেন, অফিসার, স্টাফ, গার্ড মিলে কারাগারে ১১০ জন লোকবল থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে রয়েছে ৫৫ জন। তার মধ্যে গার্ডের সংখ্যা ৪৩। কারাগারের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগেরও দাবি জানিয়েছেন এই কারাগারের সুপার।

(এমএস/এএস/এপ্রিল ২৫, ২০১৭)