বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : দেশের সর্ববৃহৎ মিঠাপানির মৎস্যভান্ডার খ্যাত হাকালুকি হাওরের পানিতে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকারক কোন পদার্থ রয়েছে কি-না তা পরীক্ষা করতে পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বড়লেখার হাকালুকি অংশের তালিমপুর ইউনিয়নের দর্শনা ব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করে সেখান থেকে পানি সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) প্রতিনিধি দল। এর আগে প্রতিনিধি দল হাকালুকি হাওরের ফেঞ্চুগঞ্জ, কুলাউড়া অংশ থেকে পানির নমুণা সংগ্রহ করে। প্রতিনিধি দল তিনটি স্পট থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি হাওরপারের ক্ষতিগ্রস্থদের সাথেও কথা বলেন।

জানা গেছে, ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে হাকালুকি হাওরের প্রায় ২৫ হাজার হেক্টরের বোরো ধান তলিয়ে যায়। ধান পচে পানি দূষিত হয়ে পড়ে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে হাকালুকি হাওরে মারাত্মকভাবে মাছের মড়ক দেখা দেয়। প্রশাসন মাছ ধরায় জারি করে নিষেধাজ্ঞা। চুন ছিটিয়ে পানির গুনাগুন বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২৫ এপ্রিল এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।

এদিকে হাওরের পানি ব্যবহারে স্থানীয় লোকজনের শারীরিক সমস্যা ও কোন রোগের প্রাদুর্ভাবের আশংকা রয়েছে কি-না তা নিশ্চিত হতে পানি পরীক্ষায় হাওরে যান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আইইডিসিআর’র (রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট) দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল।

বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি দলের প্রধান ডা. কাজী মুনিসুল ইসলাম ও সদস্য ডা. নুরুল ইসলাম হাকালুকি হাওরের তিনটি স্পট ফেঞ্চুগঞ্জ, কুলাউড়া ও বড়লেখার তালিমপুর ইউনিয়নের দর্শনা ব্রিজ এলাকা পরিদর্শন করে সেখান থেকে পানি সংগ্রহ করেন। এ সময় বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আইইডিসিআর’র প্রতিনিধি দলের প্রধান ডা. কাজী মুনিসুল ইসলাম জানান,‘হাওরের পানিতে মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর কোন পদার্থ এবং হাওরপারের লোকজনের মধ্যে রোগের প্রাদুর্ভাবের আশংকা রয়েছে কি-না তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য ইনস্টিটিউটের ২ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী হাকালুকি হাওরের ৩টি স্পট থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন।’

(এলএস/এএস/এপ্রিল ২৭, ২০১৭)