ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : টাকার বিনিময়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার শুখানপুকুরী ইউনিয়নের ডি-হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কমিটি গঠনে প্রতিবাদ করায় ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মকছেদুর রহমান,মিলন নামের এক মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করে। এ বিষয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ড জেলা শিক্ষা অফিস সহ বেশ কয়েকটি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

স্থানীয় বেশ কয়েকজন অভিভাবক সদস্য ও ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রবীন্দ্রনাথ জানান, কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে টাকার বিনিময়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে কমিটি গঠন করা হয়। লোক দেখানো প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব অর্পণ করা হয় সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোশারফ হোসেনকে। কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে গোপন রাখেন।পরে ভোটাভুটি ছাড়াই কমিটির তালিকা প্রকাশ করেন।

এ নিয়ে অভিভাবক সদস্যদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়।অভিভাবক পক্ষ থেকে কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে আবারও দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোশারফ হোসেনকে অভিযোগের তদন্তে পাঠানো হয়। এ সময় ওই মুক্তিযোদ্ধা ও স্কুলের সাবেক সভাপতি মিলন কমিটি গঠনে প্রতিবাদ জানালে তাকে লাঞ্চিত করে রুম থেকে বের করে দেন প্রধান শিক্ষক।

অভিযোগ কারি মিলন জানান,যেই রক্ষক সেই ভক্ষক কারণ প্রিজাইডিং অফিসারকে পাঠানো হয় তদন্তের জন্য সে আর প্রধান শিক্ষক মিলে এই পকেট কমিটি গঠন করেছে।দূর্নীতি করতেই এই পকেট কমিটি।আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিচার সহ কমিটি বাতিলের দাবী জানাই।অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে আন্দোলন করা হবে।

আর স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান জানান, ভোটাভুটি হয়নি তবে সমঝোতায় কমিটি হয়েছে আর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করার কথা অস্বীকার করেন তিনি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোশারফ হোসেন জানান,কোন টাকার বিনিময়ে নয় আমি সঠিকভাবে আমার দায়িত্ব পালন করেছি।

(এফআইআর/এসপি/মে ০১, ২০১৭)