স্টাফ রিপোর্টার : দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে সেপ্টেম্বরে। এর আগেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আরো একটি চুক্তি হচ্ছে। এরইমধ্যে দুটি রিঅ্যাক্টরের স্থান নির্ধারণ করে পাবনার রুপপুরে চুড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে ২৪ শ’ মেগাওয়াটের পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রার।

২০০৯ থেকে যে প্রকল্প নিয়ে সরকার ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছিল তা বাস্তবে রুপ পেতে যাচ্ছে। নানান অবকাঠামো গড়ে উঠতে থাকায় দিনে দিনে বদলে যাচ্ছে রুপপুরের পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকা। ২০২২ এর মধ্যে প্রথম কেন্দ্রটি থেকে ১২শ’ মেগাওয়াট এবং পরের বছর আরো ১২শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে রাশিয়া ও বাংলাদেশ।

কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে পরিকল্পনা মন্ত্রী এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জানান, সেপ্টেম্বরে মূল অবকাঠামোর নির্মাণ শুরুর লক্ষ্য নিয়ে চুড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে এখন।

প্রকল্পের পরিচালক ড. শওকত আকবর বলেন, মূল যে নকশা হয়েছে সে অনুযায়ী কাজ শুরু হবে। এবং সব থেকে ক্রিটিকাল পার্ট হচ্ছে যে পারমাণবিক ক্লাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়া।

পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, টাইম লাইন অনুযায়ী আমরা ২০২২ সালে ট্রায়াল রানে যাবো এবং ২০২৪ এর আগেই এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।

এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে আরো একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে দুদেশের মধ্যে। ১২ শ’ মেগাওয়াট করে দুটি স্থাপনের জন্য প্রকল্পের ভেতরে প্রস্তুত করা হচ্ছে দুটি রিঅ্য্যাক্টর বসানোর স্থান।