নিউজ ডেস্ক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ভারত সরকারের ঋণ নিয়ে এক হাজারের বেশি বাস-ট্রাক এবং সড়ক নির্মাণের সরঞ্জামাদি বাংলাদেশে আসছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ২ মে মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীর সেতু ভবনে মন্ত্রীর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাতের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বিতীয় ধাপের ঋণচুক্তির আওতায় ভারত থেকে ৬০০ বাস ও ৫০০ ট্রাকসহ কিছু সড়ক নির্মাণ সরঞ্জামাদি বাংলাদেশের পাওয়ার কথা। সেগুলোর বৈশিষ্ট্য নিয়ে কিছু আপত্তির কথা ভারতকে জানানো হয়েছে।

খুব শিগগিরই এ যানবাহন আসার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টা এখন একটি শেইপ নিয়েছে; আশা করছি খুব শিগগিরই… যেটা আমাকে ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার বলেছেন, টেন্ডার প্রসেসে যাচ্ছে, ট্রেন্ডার ফ্লোট হলে সেকেন্ড লাইন অব ক্রেডিটে বাস এবং ট্রাক আনার যে অন্তরায় ছিল তা দূর হয়ে যাচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময়ে ভারতের ৪৫০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তিতে তিনটি সড়কের প্রকল্প রয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, এগুলো হলো- বেনাপোল-যশোর-নড়াইল-ভাটিয়াপাড়া-ভাঙ্গা ও খাগড়াছড়ি রামগড় থেকে বাড়ইয়াহাট পর্যন্ত ফোর লেনের সড়ক নির্মাণ এবং কুমিল্লা থেকে বাহ্মণবাড়িয়া সরাইল পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করা। পরে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাই কমিশনার নূর আশিকিন বিনতে মোহাম্মদ তাইবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সড়কমন্ত্রী।

সাক্ষাতের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মালয়েশিয়ার পদ্মা সেতুতে আসার কথা ছিল, যাক সেই প্রকল্পটা হয়নি; তা বলে লাভ নেই। তারা নতুন করে বাংলাদেশে প্রকল্পে ইনভেস্ট করতে চান।’

তিনি বলেন, ‘তাদের দুটি প্রপোজাল আছে- মেঘনা থার্ড ব্রিজ, যেটা আড়াই হাজারের দিকে বাঞ্ছারামপুর হয়ে ওইদিকে, খুবই লম্বা ব্রিজ এটা।’

‘আরেকটি প্রস্তাব তারা দিয়েছেন, কেরানীগঞ্জ থেকে হেমায়েতপুর- এখানে তারা একটা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছেন, আমরা এটি অ্যাকটিভলি কনসিডার করব- এটি কীভাবে করা যায় এবং আরও আলোচনা হবে’, বলেন মন্ত্রী।

হাওরাঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার রাস্তা মেরামত কবে নাগাদ শুরু হবে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বৃষ্টির সময় তো সড়কের কাজ করা যায় না, যখন কাজ করার সময় আসবে সব সড়ক মেরামত করা হবে।’

(ওএস/এসপি/মে ০৩, ২০১৭)