নিউজ ডেস্ক : কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, সম্প্রতি পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকার মানুষের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কৃষি ঋণ মওকুফ এবং কৃষি ঋণ আদায় স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও স্বল্প সুদে কৃষকদের মধ্যে কৃষি ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।  মঙ্গলবার (২ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক ও শফিকুল ইসলাম শিমুলের পৃথক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্ত হাওর অঞ্চরের মানুষের পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ের মমতা নিয়ে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। হাওর অঞ্চলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত যা যা প্রয়োজন তার সবই করা হবে।

জাসদের সংসদ সদস্য লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, হাওর অঞ্চলের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে তুলতে সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ওই এলাকায় ব্রি ধান-৪৮ জাতের (আউশ) বীজ বিনামূল্যে বিতরণসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইউনিয়নভিত্তিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। হাওর এলাকায় দ্রুততার সঙ্গে আউশ ধান বপনের কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে। সবজি উদপাদনের জন্য ভাসমান বেড পদ্ধতিতে হাওর এলাকায় চালু করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

আলু উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ ৭মঃ সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে কৃষি মন্ত্রী জানান, আলু উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আলু উৎপাদন হয় ৯৪ লাখ ৭৪ হাজার মেট্রিক টন। চলতি অর্থবছরে এর উৎপাদন ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে যাবে।

সারা দেশে ভুমির ডিজিটাল জরিপঃ ভূমির অপব্যবহার রোধ ও ভূমি ব্যবস্থাপনা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দ্রুতই সারাদেশে ডিজিটাল জরিপ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি জানান, আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত এটা সারাদেশে চালু করতে। ইতোমধ্যে তিনটি জেলায় এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

মন্ত্রী আরো জানান, ডিজিটাল জরিপের বিষয়টি আমাদের আগে থেকে অভিজ্ঞতা ছিলো না। যে কারণে উন্নত দেশগুলোর অভিজ্ঞতা অর্জন করে কাজ করতে সময় লেগেছে। আমরা চেষ্টা করছি সারাদেশে ডিজিটাল জরিপ চালু করতে। ইতোমধ্যে জামালপুর জেলায় এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সরকারি দলের আরেক সদস্য নবী নেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রত্যেক এলাকায় ভূমি ব্যবস্থাপনা কমিটির উপদেষ্টা সংসদ সদস্যরা। কাজেই প্রত্যেক সংসদ সদস্যের এলাকায় ভূমির সঠিক ব্যবহার ও খাস জমি বন্দোবস্তে তাদের মতামত দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

(ওএস/এসপি/মে ০২, ২০১৭)